parbattanews

রাঙামাটিতে পশুর হাট জমেনি, হাকানো হচ্ছে চড়া  দাম

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি:

প্রতি বছরের ন্যায় রাঙামাটিতে এবারেও প্রধান পশুর হাট বাজার বসেছে জেলা শহরের পুরাতন বাস স্টেশন এলাকায়। হাট বসলেও বাজারে তেমন উল্লেখযোগ্য পশু নেই। যা তোলা হয়েছে তা আকাশচুম্বী দাম চাওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬আগস্ট) সরেজমিনে পশুর হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে তারা আশা করছেন, কয়েকদিনের মধ্যে হাটে গরু আসা শুরু করলে দাম কমে যাবে। পছন্দের পশুটি সাধ এবং সাধ্যর মধ্যে কিনে বাড়িতে ফিরতে পারবেন তারা।

ঈদুল আযহার মাত্র পাঁচদিন বাকী থাকলেও পশুর হাট এখনো জমে উঠেনি। হাটে ক্রেতা সাধারণের তেমন কোন উপস্থিতি নেই। যারা আসছে তারা  পশুর দাম শুনে বাড়ি ফিরছে খালি হাতে। কারণ গরুর আকারের চেয়ে দাম চাওয়া হচ্ছে বেশি। এমনটা অভিযোগ ক্রেতা সাধারণের।

এদিকে পশুর হাটে বড় আকারের গরুগুলো বিক্রির জন্য দাম হাকানো হচ্ছে  ১লাখ ২০হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১লাখের মধ্যে। মাঝারি আকারের গরুগুলো বিক্রির জন্য দাম হাকানো হচ্ছে ৯০হাজার থেকে শুরু করে ৭০হাজার টাকার মধ্যে এবং ছোট আকারের গরুগুলো বিক্রির করার জন্য দাম হাকানো হচ্ছে ৬০হাজার টাকা থেকে ৫০হাজার টাকার মধ্যে।

এছাড়া ছাগল (খাসী) বড় আকারের বিক্রি করার জন্য দাম হাকানো হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৫হাজার টাকার মধ্যে। আর মাঝারী আকারের ২০ থেকে ১৫হাজার এবং ছোটগুলো ১৩ হাজার থেকে ১০হাজার টাকায় বিক্রি করার জন্য দাম হাকানো হচ্ছে।

গরু কিনতে আসা ক্রেতা বেলাল উদ্দীন জানান, দাম শুনে মাথা খারাপ হয়ে গেছে। গরুর আকারের সাথে দামের কোন মিল নেই। দাম চাওয়া হচ্ছে আকাশ ছোঁয়া।

ক্রেতা সামসুদ্দীন ফরিদ জানান, বাজারে ঘুরে দেখছি। গরু কিনবো আরও কয়েকদিন পর। কারণ বাজারে গরুর দাম বেশি। এছাড়া স্বল্প সংখ্যক গরু বাজারে তোলা হয়েছে। পছন্দের গরু খুঁজছি।

রাঙামাটির লংগদু উপজেলা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী হাজী আলম জানান, এবারের হাট বাজারে ১২টি গরু তুলেছেন তিনি। সর্বোচ্চ দামে তিনি গরু বিক্রি করছেন।

দামের ব্যাপারে তিনি আরও জানান, ১লাখ ২০হাজার টাকা শুরু করে ১লাখের মধ্যে তিনি গরু বিক্রি করবেন । বেচা-বিক্রি বাড়লে আরও গরু হাটে তোলা হবে বলে এ ব্যবসায়ী যোগ করেন।

গরু ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দীন জানান, এবারের হাট বাজারে তিনি চারটি গরু তুলেছেন। তার প্রতিটি গরু ৭০হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০হাজার টাকায় বিক্রি করবেন ।

হাট বাজারের ইজারাদার কর্মচারী মোকাদ্দেম সায়েম জানান, বুধবার চারটি গরু এবং বৃহস্পতিবার সারদিন মিলে মাত্র একটি গরু বিক্রি করা হয়েছে। তিনি  আশা করছেন, কয়েকদিনের মধ্যে পশুর হাট জমে উঠবে।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া  জানান, পশুর হাট জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ কাজ করছে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, জাল টাকা সনাক্তকরণের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। এছাড়া পশুর যে কোন সমস্যা দূরীকরণে এ্যানিমেল মেডিকেল টিম স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি যোগ করেন।

Exit mobile version