নিজস্ব প্রতিনিধি :
রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে গৃহহীনদের পাশাপাশি ফের ধসের আশঙ্কায় ১৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন। এসব মানুষকে প্রশাসনের পাশাপাশি অনেকে ব্যক্তিগত এবং সাংগঠনিকভাবেও ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসছেন।
বেসরকারি পর্যায় থেকে আসা সহায়তা বা ত্রাণ বিচ্ছিন্নভাবে প্রদান করতে নানা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় জেলা প্রশাসন তা সমন্বয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখন থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা বা ত্রাণ দিতে চাইলে তা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেই দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এজন্য ব্যাংক হিসাব খোলার পাশাপাশি চার সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান বলেন, “রাঙামাটি বা এর বাইরের জেলা থেকে ব্যক্তিগত অথবা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা করতে চাইলে তা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেই করতে হবে। এখানে আলাদাভাবে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
অর্থ সাহায্য নেওয়ার জন্য ইসলামী ব্যাংক রাঙামাটি শাখায় একটি ব্যাংক হিসাব খোলার তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে দেওয়া সহায়তা বিতরণের বিষয়টি সমন্বয় করবে চার সদস্যের কমিটি।
“কেউ নগদ অর্থ সহায়তা দিতে চাইলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তা জমা দিতে হবে। রোববার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে।”
এর বাইরে কেউ ত্রাণসামগ্রী বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য ও কাপড় দিতে চাইলে তা প্রশাসনের কমিটির কাছে জমা দিতে হবে।
“কারণ কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে হয়ত দুইশজন আছেন। কিন্তু কেউ হয়ত সেখানে ৫০ জনের সমপরিমাণ সহায়তা নিয়ে গেলেন। তখন ত্রাণ বিতরণের সময় সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেজন্য আগ্রহীদের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের অনুরোধ জানাচ্ছি আমরা।”
ত্রাণ সহায়তা নেওয়ার জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটির সদস্যরা হলেন- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদা আক্তার ও ফাতিমা আক্তার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।