রাঙামাটিতে বাঙালি-পাহাড়ি সহিংসতা ও হত্যা মামলায় গ্রেফতার তিন
রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও অনিক কুমার চাকমা হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার গ্রেপ্তার এক আসামিকে আদালতে তোলা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি নাবালক হওয়ায় তাদের জাতীয় কিশোর উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানিয়েছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও অনিক চাকমা হত্যা মামলায় খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে আসামি মো. রুবেলকে (২৩) জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার পারভিন মিলির আদালতে তোলা হলে সে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে খাগড়াছড়ি মানিকছড়ি উপজেলা থেকে হত্যা মামলার আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরের সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ঘটনায় জেলা শহরের কালিন্দীপুর এলাকার প্রবেশ মুখে অনিক কুমার চাকমাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার বাসা সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের নোয়াদম পাড়া গ্রামে।
অনিক কুমার চাকমা রাঙামাটি সদর উপজেলা জীবতলী ইউনিয়নের নোয়াদম পাড়ার আদর সেন চাকমার ছোট ছেলে এবং কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। পিটিয়ে হত্যার ঘটনার দুদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন অনিকের বাবা আদর সেন চাকমা।