প্রশাসনের সতর্কতা জারি

রাঙামাটিতে বৃষ্টি বাড়ায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা

fec-image

বৃষ্টি কারো জন্য আনন্দদায়ক হলেও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরত হতদরিদ্রদের জন্য মৃত্যুর পরোয়ানা। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের জন্য আতংক সৃষ্টি করেছে। যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে। হতে পারে ভয়াবহ হতাহতের ঘটনা।

বৃষ্টি স্থায়ীত্ব হওয়ায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতা জারি করেছে এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে গেলে বাসিন্দারা যেন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।

জেলায় ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে সরকারি হিসেবে ১২০ জনের প্রাণহানী ঘটেছিল। তবে বেসরকারি ভাবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। এরপর ২০১৮সালেও পাহাড় ধসে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বসবাসরত ১১জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। মূলত এ ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে প্রশাসন অগ্রিম সতর্কমূলক প্রচারণা চালাতে শুরু করেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙামাটির স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন জেলা শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং স্থানীয়দের সতর্ক করেছেন। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে কাল বিলম্ব না করে দ্রুত সময়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাসিন্দাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।

রাঙামাটি জেলার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নাবিল নওরোজ বৈশাখ বলেন, বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ায় প্রাণহানি এবং জান-মালের ক্ষতি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরতদের মাঝে প্রশাসন অগ্রিম সতর্কতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে।

বৃষ্টি যতদিন থাকবে প্রশাসন ততদিন এ ধরণের সতর্কতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে বৃষ্টি দীর্ঘ মেয়াদী স্থায়ী হলে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হবে জানান এনডিসি।

প্রসঙ্গত: রাঙামাটি দেশের বৃহৎ জেলা হলেও এখানে সমতল ভূমির পরিধি অত্যন্ত কম। পুরো এলাকা পাহাড় বেষ্টিত। ধনীরা সমতল এলাকায় বসবাস করলেও নিম্নআয়ের মানুষেরা জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও পাহাড়ের পাদদেশে খাসমূলে জায়গা ক্রয় বা দখল করে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে যুগের পর যুগ।

সরকার একাধিকবার তাদের পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সরানোর চেষ্টা করলের তাদের জন্য স্থায়ী আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে না পারায় এ সমস্যা দীর্ঘ বছর থেকে গেছে। বর্ষাকাল আসলে পাহাড় ধসের ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: রাঙামাটি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন