parbattanews

রাঙামাটিতে ৩ দিনব্যাপী ‘আদিবাসী সংস্কৃতি মেলা’র উদ্বোধন

Adibashi-1427839551

চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙামাটি :

সোমবার রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘পার্বত্য সাংস্কৃতিক উৎসব ও মেলা-২০১৫’ শুরু হয়েছে। এর পরপরই শুরু হয়েছে জুম ঈসথেটিকস কাউন্সিল (জাক) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী `আদিবাসী’ সংস্কৃতি মেলা।

মেলা উদ্বোধন করা হয় বুধবার। রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ মেলার উদ্বোধন করা হয় বিকাল ৫টায়। বিশিষ্ট সমাজকর্মী রেভা. এল ডলিয়েন বম এ মেলা উদ্বোধন করেন।

জাক সভাপতি অ্যাডভোকেট মিহির বরণ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মংসানু চৌধুরী। এছাড়া বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক জিরকুং সাহু ও মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক শান্তিময় চাকমা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৃত্য-সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় `আদিবাসী’ শিল্পীরা। এ মেলা শেষ হবে আগামী শুক্রবার।

এর আগে শনিবার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী পার্বত্য সংস্কৃতি উৎসব ও মেলা উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ২৯৯-পার্বত্য রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। সেমাবার অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু।

এর পরপরই আগামী শুক্রবার সকালে ‘আদিবাসী জুম্ম সংস্কৃতি বিকাশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসুন’ এমন স্লোাগানে সার্বজনিন বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, সাংক্রান, বিহু উদযাপন কমিটির আয়োজিত তিন দিনের উৎসব শুরু হবে। ওইদিন সকাল ৯টায় রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে এ উৎসব উদ্বোধন করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।

এছাড়া রাঙামাটির সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী শেষে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হবে ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এছাড়া রাঙামাটি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এ উৎসবের অনুষ্ঠানমালায় উপজািত জুম্ম খেলাধূলা, বয়োজোষ্ঠ্যদের সম্মাননা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ১২ এপ্রিল ভোরে ফুল ভাসানো, বিকালে বলীখেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।

Exit mobile version