রাঙামাটিতে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি

fec-image

রাঙামাটি শহরে কেজিতে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আগামী দু’দিন ধরে এ পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা জানান।

মঙ্গলবার (১০ডিসেম্বর) দিনব্যাপী শহরের রাঙামাটি চিংহ্লামং মারী স্টেডিয়ামে টিসিবি’র ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। স্বল্প দামে হাতের নাগালে প্রথম দিনে পেঁয়াজ কিনতে এসে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। ক্রেতারা লম্বা লাইন ধরে এসব পেঁয়াজ কিনছে।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, পেঁয়াজের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ৮০টাকা, চিনি কেজি প্রতি ৫০টাকা, ডাল কেজি প্রতি ৬০টাকা করে বিক্রি করছে। ক্রেতারা হাতের নাগালে এসব পণ্য কিনতে পেরে বেজায় খুশি।

তবে ব্যবসায়ীরা জানান, সকল জনগণ এসব পণ্যর সুবিধা ভোগ করতে জনপ্রতি এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি ডাল, এক কেজি চিনি, ২লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করতে পারবেন। এর অতিরিক্ত কারো কাছে বিক্রি করা হবে না।

পেঁয়াজ কিনতে আসা রহিমা বেগম বলেন, খুব ভাল লাগছে ৪৫টাকা করে পেঁয়াজ ক্রয় করতে পেরে। পাশাপাশি তেল, ডাল, চিনিও হাতের নাগালে থাকায় ক্রয় করতে পেরেছি।

তিনি জানান, পেঁয়াজের আকার বড় হলেও পেঁয়াজগুলো তেমন সুবিধার না। কিন্তু কি করা, যে হারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি। তার চেয়ে এ পেঁয়াজ কিনে স্বস্তি লাগছে।

আরেক ক্রেতা আলফা আরজু বলেন, পেঁয়াজ, তেল, চিনি, ডাল সব কিনলাম। তবে সবকিছু এক কেজির বেশি কিনা যাচ্ছে না। এত কষ্ট করে দীর্ঘক্ষণ লাইন ধরে এসব পণ্য ক্রয় করা কষ্ট সাধ্য ব্যাপার বলে যোগ করেন তিনি।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ব্যবসায়ী ঝিল্লোল মজুমদার বলেন, আগামী দু’দিন ধরে আমরা রাঙামাটি শহরে ভোজ্যপণ্য বিক্রি করবো। কি পরিমাণ ভোজ্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, পেঁয়াজ এক মেট্রিক টন, চিনি ৫০০কেজি, তেল ৩০০লিটার, ডাল ৩০০ কেজি সরবরাহ করা হয়েছে। এগুলো শেষ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে আবার পুনরায় বিক্রি শুরু করবো।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, ভোজ্যপণ্যর উর্ধ্বগতি তথা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির দরিদ্র মানুষের কথা ভেবে টিসিবি’র মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির সিন্ধান্ত গ্রহণ করি। এজন্য টিসিবি’র ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করি এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পণ্য পরিবহনের ব্যয় বহন করা হবে এমন কথা বলার পর ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করতে রাজি হয়।

পরবর্তীতে জনগণের চাহিদা অনুয়ায়ী জেলা শহরের অন্যান্য স্থানেও এসব ভোজ্যপণ্য বিক্রি করা হবে বলে জেলা প্রশাসক যোগ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন