parbattanews

রাঙামাটি ঝুলন্ত ব্রীজ পানির নীচে পর্যটকরা হতাশ

brij
রাঙামাটি প্রতিনিধি:
পার্বত্য জনপদ রাঙামাটিতে অসংখ্য পর্যটকের পদচারণা ঘটেছে এবার ঈদ-উল আযহার ছুটিতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঈদ অবকাশে রাঙামাটি পাড়ি দিয়েছেন পর্যটকরা। ছুটির দিনে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় স্পট ও স্থাপনাগুলোতে ছুটে গেছেন স্থানীয়রাও।

দীর্ঘ দু’মাস ধরে পানির নীচে ঝুলন্ত ব্রীজ। এ কারণে পর্যাটকরা হতাশ। পর্যাটকরা অভিযোগ করে বলেন, ‘রাঙামাটিতে পাহাড় ও লেক ছাড়া কিছু নেই। আকষর্নীয় ঝুলন্ত ব্রীজ পানির নীচে নতুন করে কোন বিনোদন পার্ক বা স্পট গড়ে উঠেনি রাঙামাটিতে।’

রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, বর্তমানে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে ঝুলন্ত ব্রীজ। তবে ঝুলন্ত ব্রীজটি পানিতে ডুবে থাকলেও এবার ঈদ উপলক্ষে প্রচুর পর্যটক রাঙামাটি ভ্রমণে এসেছেন। রাঙামাটি পর্যটন মোটেলে অতিথিদের ভিড়ে কক্ষগুলো এখন ঠাসা। চলতি সপ্তাহজুড়ে বুকিং রয়েছে। ঝুলন্ত সেতুটি সবার কাছে দৃষ্টিনন্দিত। তবে বর্তমানে সেতুটি পানির নিচে ডুবে থাকলেও সুবলং ঝর্ণা, কাপ্তাই লেকে নৌ-ভ্রমণ, চাকমা রাজার বাড়ি, রাজবন বিহার, ডিসি বাংলো, টুকটুক ইকো ভিলেজসহ বিভিন্ন দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্পট ও স্থানগুলোতে আগত পর্যটকরা পাড়ি দিচ্ছেন।

রাঙামাটি শহরে সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সের মোটেল ছাড়াও রয়েছে অনেকগুলো ভালোমানের আবাসিক হোটেল। সেগুলোর মধ্যে হোটেল সুফিয়া, গ্রিন ক্যাসেল, আল মোবা, নীডস হিলভিউ, প্রিন্স উল্লেখযোগ্য।

এসব আবাসিক হোটেলে ঈদ অবকাশে চলতি সপ্তাহ জুড়ে বুকিং রয়েছে বলে জানান হোটেল প্রিন্সের মালিক ও রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: নেছার উদ্দিন। তিনি বলেন, তার হোটেলে ঈদের পরদিন থেকে সবগুলো কক্ষ সপ্তাহজুড়ে বুকিং হয়ে গেছে।

Exit mobile version