parbattanews

রাঙামাটি শহর থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ যাবে ঠেগামুখ স্থলবন্দরে

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ায় রাঙামাটি শহর থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ যাবে বরকল উপজেলার ঠেগামুখ স্থল বন্দরে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় ঠেগামুখ স্থল বন্দরের উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছাড়া হবে বলে নৌ-যাত্রী পরিবহন সংস্থা রাঙামাটি জোন এর সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন আদেশ থেকে জানা গেছে, পুর্বে রাঙামাটি থেকে বরকলের ছোট হরিণা পর্যন্ত নৌ-যান চলাচল করতো।

বর্তমানে যাত্রীদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবং নৌ-যান পরিবহন সংস্থা রাঙামাটি জোন কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এবার রাঙামাটি থেকে হরিণা হয়ে ঠেগামুখ ভারত সীমান্ত পর্যন্ত নৌ-যান চলাচল করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

সুত্রটি থেকে আরও জানা যায়, বাংলাদেশের লেকসিটি হিসেবে খ্যাত রাঙামাটি জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে হ্রদ ও নৌ-যান ভ্রমণে সাধারণ যাত্রীসহ পর্যটকদের অবাধ ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর তদারকি প্রয়োজন রয়েছে।

নৌ-যান চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে সাধারণ যাত্রীসহ ভ্রমণ পিপাসুদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করা সম্ভব বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিমত, রাঙামাটি থেকে ছোট বরকলের ছোট হরিণা হয়ে লঞ্চ যদি ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা ঠেগামুখ স্থল বন্দর পর্যন্ত যায় তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগের ব্যবস্থার যেমন উন্নতি হবে তেমনি বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হবে দু’দেশের মানুষ।

নৌ-যাত্রী পরিবহন সংস্থা রাঙামাটি জোন এর সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, যাত্রীদের দাবির মুখে আমরা রোববার থেকে শহরের ব্যস্ততম নগরী রির্জাভ বাজার লঞ্চঘাট হতে সকাল সাড়ে ৭টায় ঠেগামূখের উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ছেড়ে যাবে।

ঠিক একই দিন সকাল ৬টায় ঠেগামুখ থেকে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে একটি লঞ্চ ছেড়ে আসবে। ঠেগামুখে যাত্রীবাহী লঞ্চ সার্ভিসে নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে বলে যোগ করেন তিনি।

Exit mobile version