রাঙ্গামাটিতে জামায়াতকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রপাগান্ডার প্রতিবাদ

fec-image

দুইটি সরকারি ও (এমপিওভূক্ত) আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের সীমানা বিরোধ এবং তারপর আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে চুড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়া একটি বিষয় নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

রাঙ্গামাটি জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বগণ এবং নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সামাজিক যোাগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভুল তথ্য ও প্রপাগান্ডা ছড়ানোর বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাঙ্গামাটি জেলার পক্ষ থেকে সকলের অবগতির জন্য নিম্নলিখিত বিবৃতি প্রদান করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আদর্শ ভিত্তিক ও নৈতিক বিষয়ে সদা সতর্ক একটি সংগঠন। সকল প্রকার ব্যক্তি স্বার্থ ও লোভ লালসার উর্ধে থেকে এই সংগঠন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

কিন্তু আমারা বেদনাহত হয়ে লক্ষ্য করলাম যে, স্থানীয় একটি কুচক্রি মহলের ইন্দনে দেশের একজন স্বনামধন্য সাংবাদিক সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে জড়িয়ে কিছু মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।

অথচ এই ঘটনার সাথে সাংগঠনিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পর্ক নেই। বরং এটা দুইটি প্রতিষ্ঠানের সীমানার দ্বন্দ, যা সাথে সাথে নিষ্পত্তিও হয়ে গেছে। অত:পর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সেখানে সীমানা দেওয়াল নির্মাণ করে বিষয়টি আজীবনের জন্য নিষ্পত্তি করে ফেলেছে।

কিন্তু ঘটনার এতদিন পর বিষয়টি সামনে আনা এবং একপক্ষের কথা শুনে প্রচার করা ‘জুলকারনাইন সায়েরের’ মতো একজন বিজ্ঞ সাংবাদিকের উচিৎ হয়নি। এটা যেমন নীতি নৈতিকতা পরিপন্থী এবং সাংবাদিকতার নীতিমালার স্পষ্ট লংঘন। তিনি প্রতিষ্ঠানের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে প্রকৃত তথ্য জানতে পারতেন। দু:খজনক হলো যে, তিনি কারো সাথে কথা বলারও গরজ অনুভব করেননি।

প্রকৃত ঘটনা হলো মুজাদ্দেদই আলফেসানী উচ্চ বিদ্যালয় রাঙামাটি জেলার এবটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সুনামের সাথে রাঙ্গামাটি জেলার পাহাড়ি বাঙালিদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় এবং আলফেসানী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরস্পরের প্রতিবেশি। দুই প্রতিষ্ঠান তাদের সরকারি রেকর্ডভূক্ত জায়গায় অবস্থান করে আসছে যুগের পর যুগ।

সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হঠাৎ করে তাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তির বাইরে গিয়ে ২নং খাস খতিয়ানভূক্ত তথা ফ্রিজল্যান্ডে গিয়ে তাদের সীমানা দেওয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নিলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণের আহ্বান জানানো হয়। কারণ এতে বিদ্যলয়ের পিছনে অবস্থান করা ছাত্রাবাস এবং শিক্ষাকদের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।

ঘটনার দিন বিকেলে সমঝোতা বৈঠকের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারিত থাকলেও তার আগেই তারা সেখানে দেওয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এতে কিছু অনাকাংখিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। তবে খবর পেয়ে সেখানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পাশাপাশি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আপস নিষ্পত্তির মাধ্যমে সমাধানে উপনীত হওয়ার পর সেখানে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ স্থায়ী দেওয়াল নির্মাণ করে আজীবনের জন্য বিরোধ শেষ করে দেয়।

দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সীমানা বিরোধ সারা পৃথিবীতে একটি চিরন্তন বিষয়। এর সমাধান আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে, এখানেও তাই হয়েছে। পাশাপাশি এখানে জামায়াতের যেসব সম্মানীত নেতৃবৃন্দের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা সকলেই সেখানে একটি গণমুখি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে সেখানে উপস্থিত হন।

এখানে কারো কোনো ব্যক্তি স্বার্থের লেশমাত্র ছিল না। কারণ বিদ্যালয় জনগণের সম্পত্তি। আমরা আশা করি এর পর এ বিষয়ে সকল বিভ্রান্তির অবসান হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন