রাঙ্গামাটিতে পাহাড় কেটে রমরমা জমির ব্যবসা নির্বিকার প্রশাসন
চৌধুরী হারুনুর রশীদ,
রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি শহরে অবাধে পাহাড় কেটে দখল করা হচ্ছে খালি জায়গা। পাহাড় কেটে চলছে রমরমা জমির ব্যবসা। নির্বিকার প্রশাসন। অনেকে দখল করা জমি অবাধে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সেসব জায়গায় অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে অসংখ্য বাড়িঘর। ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে স্থানীয় লোকজন। তৈরি হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ। এভাবে রাঙ্গামাটি শহরে হাজার হাজার মানুষ বাস করছে ঝুঁকির মধ্যে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা দেখা গেছে, বর্তমানে কেবল শহর এলাকায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ঝুঁকিতে বাস করছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করে অনুরোধ করছে স্থানীয় প্রশাসন, পৌরসভা ও রেডক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের কলেজগেট এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে চলছে জমি দখলের হিড়িক। সরকারি খাস জমি ছাড়াও বেহাত হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় বহু মানুষের জায়গা। রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় কয়েক একর রেকর্ডীয় জমিও বেহাত হয়ে গেছে এর মধ্যে। এলাকার বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও ব্যবসায়ী সাবেক রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মৃত সুবিমল দেওয়ানের পুত্র পংকজ দেওয়ান জানান, বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে ডা. একে দেওয়ান তার আনাচে কানাচে বহু জায়গা বিক্রি করে অবাধে রমরমা জমির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেসব জায়গায় অবাধে পাহাড় কেটে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, রাঙ্গামাটি শহরে অবেধ স্থাপনা নির্মাণ ও পাহাড় কাটার কারণে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় ও ভুমিধসের আশংকা বাড়ছে। তারা অভিযোগ করেন শহরের কলেজগেট এলাকায় ডা. একে দেওয়ান বিশাল পাহাড় কেটে বহু বাড়িঘর নির্মাণ ও ভুমি বিক্রি করছেন। পাহাড় কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর রহস্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভুমিকায়। এই বিষয়ে রাঙামাটি সচেতন নাগরিক কমিটি ও পরিবেশবাদী সংগঠনের ভুমিকা রহস্যজনক ।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ডা. এ কে দেওয়ানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ শোনার পর কোনো মন্তব্য না করেই ফোন কেটে দেন।