রাঙ্গামাটিতে সেনাটহলে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণ: ২ সন্ত্রাসী নিহত, এক সেনা সদস্য গুলিবিদ্ধ

fec-image

রাঙামাটির  নানিয়ারচর উপজেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর টহল দলের উপর প্রসীত গ্রুপের ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় ২জন ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী নিহত এবং একজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩অক্টোবর) বিকাল ৫টায় উপজেলার সাবেক্ষং ইউনিয়নের রউফ টিলা নামক নামক  এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজনের নাম রকেট চাকমা (৩৮) বলে জানা গেলেও আরেকজনের নাম জানা যায়নি। আহত নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যর নাম সাহাবুদ্দিন (২৮)। তিনি রাঙামাটি সদর জোনের ২০বীরের সদস্য।

নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান রাত সাড়ে ৯টায় মুঠোফোনে বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অনেক দিন ধরে নানিয়ারচরের জেলেদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল জেলে সেজে চাঁদা দেওয়ার জন্য রউফ টিলায় গেলে সন্ত্রাসী দলের নেতা চাঁদা নিতে আসেন। তখন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে ধরে ফেললে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে।

নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে ঘণ্টাব্যাপী গুলিবিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ ও লাশের পাশে একটি অত্যাধুনিক একে-২২ রাইফেল পাওয়া যায়। এর মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তবে মূল নাম পাওয়া যায়নি। তাঁর ছদ্মনাম রকেট চাকমা। বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া গ্রামে। চাঁদাবাজি করার সময় নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে

সূত্র জানায়: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাঙ্গামাটি জোনের একটি টহল দল রউফ টিলা এলাকায় ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ ) এর সশস্ত্র চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের জন্য একটি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সেনাটহল এর উপস্থিতি বুঝতে পেরে পার্শ্ববর্তী একটি টিলার উপরে অবস্থানরত চাঁদাবাজদের সাহায্যকারী অপর একটি সন্ত্রাসী দল সেনা টহলের উপর গুলিবর্ষণ করে। সেনা টহল পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলে দুইজন সশস্ত্র চাঁদাবাজ নিহত হয় এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে সৈনিক শাহাবুদ্দিন নামে একজন টহল দলের সদস্য বাম কাঁধে গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় টহল দল ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ০১টি একে-২২ এসএমজি উদ্ধার করে।

সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত সৈনিক শাহাবুদ্দিন

পরবর্তীতে, আহত সেনাসদস্যকে হেলিকপ্টার যোগে রাঙ্গামাটি থেকে চট্টগ্রাম সিএমএইচ স্থানান্তর করা হয় এবং বর্তমানে সে আশংকামুক্ত।

একই ঘটনায় আরো বেশ কিছু সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে পানিতে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

রাঙামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে।


নোট: রাঙামাটিতে সেনা-সন্ত্রাসী গুলিবিনিময়ের এই সংবাদে পূর্বের সংবাদে সন্ত্রাসীদের পরিচয় জেএসএস বলা হয়েছিল। প্রথমিক সংবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই সংবাদ প্রচার করা হলেও পরে জানা যায়, সন্ত্রাসীরা আসলে ইউপিডিএফ(প্রসীত) প্রুপের। সেভাবে নিউজটি আপডেট করা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গুলিবর্ষণ, জেএসএস, রাঙ্গামাটিতে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন