parbattanews

রাঙ্গামাটির কাউখালীতে অজ্ঞাত তরুণীর ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার

মৃত্যু নিশ্চিত করতে কেটে দেয়া হয়েছে স্তন ও হাত পায়ের রগ

লাশ উদ্ধার

কাউখালী প্রতিনিধি:

রাঙামাটির কাউখালী থেকে অজ্ঞাত তরুণীর ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৪ জানুয়ারী বিকাল পাঁচটায় উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের তারাবনিয়া এলাকা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত তরুণীর পরনে সেলোয়ার কামিজ ও বোরকা পড়া ছিল। কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এব্যাপারে কাউখালী থানায় হত্যা মালা দায়ের করেছে পুলিশ।

কলমপতি ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার অংখ্যাচিং মারমা জানান, সোমবার বিকাল ৫টার সময় তারাবনিয়া এলাকার জনৈক কৃষক রাস্তার পাশে জঙ্গলে গরু খুঁজতে যায়। এসময় রাস্তা থেকে অন্তত বিশ ফুট গভীরে ছড়ার মধ্যে বোরকা পরা নারীর লাশ দেখতে পায়। এসময় ঐ কৃষক এলাকাবাসীকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

খবর পেয়ে কাউখালী থানার এস.আই যোযৎসু যজ চাকমার নেতৃত্বে পুলিশ কাউখালী সদর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরত্বে তারাবনিয়ার পাহাড়ের পাশের ছড়া থেকে নিহত তরুণীর লাশ উদ্ধার করে কাউখালী থানায় নিয়ে আসে।

কলমপতি ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার দেলোয়ার হোসেন জানান, অজ্ঞাত ঐ তরুণীকে অত্যান্ত নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের পর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার জন্য হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে। কেটে ফেলা হয়েছে স্তন ও মুখের মাংস। লাশ ফুলে ও পঁচন ধরার দরুন সনাক্ত করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়েপড়েছে। এছাড়াও লাশ যাতে সনাক্ত করা না যায় তার জন্য মুখমন্ডলের মাংশ কেটে নেয়া হয়েছে।

কাউখালী থানার এস.আই যোযৎসু যজ চাকমা জানান, অত্যান্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং এ হত্যাকান্ড দু’থেকে তিনদিন পূর্বে হয়ে থাকতে পারে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কেটে নেয়া হয়েছে নিহতের স্তন। এছাড়াও মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাত ও পায়ের রগও কেটে দেয়া হয়েছে। লাশ যাতে সনাক্ত করা না যায় তার জন্য মুখমন্ডলের মাংশ কেটে ফেলে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে লাশ ফুলে গিয়ে পঁচন ধরেছে। চেহারাও তেমন একটা চেনা যাচ্ছেনা।

স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত তরুণী স্থানীয় কেউ না। পুলিশের ধারণা ঐ তরুণীকে কাউখালীর বাইরে থেকে প্রতিহিংসা বা বেড়ানোর কথা বলে নির্জন স্থানে এনে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। কাউখালী থানার ওসি আব্দুল করিম জানান, থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৮ মে একই স্থানে সুনিল কান্তি দে নামের ৬০ বছরের এক সিএনজি ড্রাইভারকে জবাই করেতার সিএনজি ছিনতাই করা হয়েছিল।

Exit mobile version