রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল চালু হয়নি। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করছেন তারা দুর্বৃত্তের কাছে জিম্মি কিনা। এখানে মানুষের বলার এবং চলার অধিকারও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।
রাঙ্গামাটি নৌ-যান মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, প্রশাসন আমাদের লঞ্চ চলাচল করতে সহযোগিতা করবে বললেও লঞ্চ মালিককেরা লঞ্চ চালাতে ভয় পাচ্ছে। যার কারণে লঞ্চ চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে।
এদিকে অবরোধের প্রেক্ষিতে গত ১৬ ডিসেম্বর জুরাছড়ি জোনের সাথে উপজেলার ব্যক্তি বর্গের বৈঠকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে নৌ-যান চলাচলা স্বাভাবিক করা হয়েছে এবং বাজারসহ সকল নিত্য দ্রব্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত লঞ্চ চালু হয়নি। কিন্তু লঞ্চ না চললেও অ-ঘোষিতভাবে চলাফেরা করছে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের মানুষ।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, দুই উপজেলায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে ক্রেতা- বিক্রেতার উভয়েরই ক্ষতি হচ্ছে এবং ক্রেতাদের উপচে-পড়া দাম দিয়ে জিনিস পত্র ক্রয় করতে হচ্ছে বলে জানান।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান জানান, আমরা নৌ-যান চালু করার জন্য পুলিশ স্কট দিয়ে চেষ্টা করছি। আশা করি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে নৌ-যান চালু করা হবে। লঞ্চ মালিকদের যে ভয়ভীতি আছে তা দূর করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিলাইছড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা অরবিন্দু চাকমা খুন ও জুরাছড়ি, রাঙ্গামাটিতে দুই নেতা হত্যা চেষ্টার ঘটনার পর আওয়ামী লীগ ও জনসংহতি সর্ম্পকে অবনতি হয়েছে ফলে অশান্ত হয়ে উঠছে রাঙ্গামাটি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন ৩শতাধিক নেতাকর্মী। সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে ইতিমধ্যে জুরাছড়ি উপজেলার কৃষক লীগের কমিটি বিলুপ্তি করা হয়েছে। প্রায় ৮দিন যাবত নৌযান বন্ধ রয়েছে দুই উপজেলায়। এদিকে হত্যাকাণ্ডের আসামি হিসেবে প্রায় ১৯জনকে গ্রেফতার করা হলে গত ১১ ডিসেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি দুই উপজেলায় নৌ-যান বন্ধ করে দেয় আঞ্চলিক দলের পেশি শক্তির নেতারা।