রাঙ্গামাটির সুর কৃষ্ণ চাকমা’র বক্সিংয়ে স্বর্ণপদক লাভ

fec-image

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কৃতি সন্তান সুর কৃষ্ণ চাকমা বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস ২০২০-এ আবারো বক্সিং-এ চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট জয় করে গোল্ড মেডেল পেলেন। পেশাদার বক্সার হিসাবে জাতীয় পর্যায়ে রয়েছে তাঁর রয়েছে অপ্রতিরোধ্য সুনাম।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল)  মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে দুপুর ১২ টায় অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে তিনি তাঁর এই সহজ জয় নিশ্চিত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এই মেধাবী শিক্ষার্থী এবার বাংলাদেশ আনসারের হয়ে লড়ে স্বর্ণ জয় করলেন। তার এই অর্জনে অনেকেই অভিনন্দন জানাচ্ছেন আর শুভকামনা করছেন পরবর্তী ক্যরিয়ারের জন্য।

স্বর্ণপদক জয়ের পর গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৩ সালে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্বর্ণ জিতেছিলাম। দীর্ঘ আট বছর পর আবার ২০২১ এ এই স্বর্ণের দেখা পেলাম। নিশ্চয় অনেক খুশি লাগছে।তবে এত বছর খেলার গতি ঠিক রাখা খুব একটা সহজ ছিল না। যদি পরিশ্রম ও প্যাশন (আবেগ) না থাকতো তাহলে নিজেকে ফিট রাখতে পারতাম না। নিজের জন্য আশীর্বাদও চেয়েছেন তিনি।

সুর কৃষ্ণ চাকমা বলেন, চ্যাম্পিয়ন খেলায় রাজশাহী সিটি’র মোহাম্মদ আল সানীর সাথে মোটামুটি সহজ জয় পেলেও এর আগের সেমিফাইনাল এত সোজা ছিল না। আমি ইনজিউরড (আহত) ছিলাম। কিন্তু কাউকে বুঝতে দিইনি, খেলা চালিয়ে গিয়েছি। এত পরিশ্রমের বিনিময়ে পাওয়া এই অর্জন তাই আমার কাছে অনেক আবেগের।

তিনি ২০১৩ সালে তাঁর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক খ্যাত ‘বাংলাদেশ গেমস’ এ অংশগ্রহন করেন। এই আয়োজনে একে একে এসএ গেমস এ সোনা জেতা মো: আব্দুর রহিম, তৎকালীন বক্সিং চ্যাম্পিয়ন মো. আরিফ হোসেনকে হারিয়ে তিনি জাতীয় পর্যায়ে সোনা জিতে নেন।

তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কমনওয়েল্ট গেমসে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে স্কটল্যান্ডে যাওয়ার সুযোগ ঘটে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ১৯-২০ ব্যবধানে হেরে গেলেও কর্তৃপক্ষের সুনজরের কারণে রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহনের জন্য বৃত্তি লাভ করেন সুরকৃষ্ণ চাকমা।

২০১৫ সালে কিক বক্সিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত লন্ডন প্রবাসী আলী জ্যাকোর একান্ত সহযোগীতায় লন্ডনের পিকক জিমে বিশ্বমানের কোচের সান্নিধ্যে ট্রেনিং এর সুযোগ পান যা তার প্রতিভাকে এক নতুন মাত্রায় নিতে সক্ষম হন। ২০১৮ সালে ইন্ডিয়ার হরিয়ানা রাজ্যে আবারো ৫ মাস ট্রেনিং এর সুযোগ পেয়ে হরিয়ানা রাজ্যের স্টেট চ্যাম্পিয়নকে প্রথম ম্যাচেই হারানো এই প্রতিভাবান বক্সার ২০১৯-এ নেপালে অনুষ্ঠিত সাউট এশিয়ান গেমস এ বক্সিং এ ৬০ কেজি ওজনের ক্যাটাগরিতে অর্জন করেন বাংলাদেশের পক্ষে ব্রোঞ্জ পদক।

বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস ২০২০-এ আবারো বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সুর কৃষ্ণ চাকমা।  ৮ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস ২০২০-এ আবারো বক্সিং-এ চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট জয় করে গোল্ড মেডেল পেলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কৃতি সন্তান সুর কৃষ্ণ চাকমা। পেশাদার বক্সার হিসাবে জাতীয় পর্যায়ে রয়েছে তাঁর রয়েছে অপ্রতিরোধ্য সুনাম। আজ (এপ্রিল) বৃহষ্পতিবার মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে দুপুর ১২ টায় অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে তিনি তাঁর এই সহজ জয় নিশ্চিত করেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এই মেধাবী শিক্ষার্থী এবার বাংলাদেশ আনসারের হয়ে লড়ে স্বর্ণ জয় করলেন।তাঁর এই অর্জনে অনেকেই অভিনন্দন জানাচ্ছেন আর শুভকামনা করছেন পরবর্তী ক্যরিয়ারের জন্য।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৩ সালে তাঁর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক খ্যাত ‘বাংলাদেশ গেমস’ এ অংশগ্রহন করেন। এই আয়োজনে একে একে এসএ গেমস এ সোনা জেতা মো: আব্দুর রহিম, তৎকালীন বক্সিং চ্যাম্পিয়ন মো: আরিফ হোসেনকে হারিয়ে তিনি জাতীয় পর্যায়ে সোনা জিতে নেন।

তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কমনওয়েল্ট গেমসে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে স্কটল্যান্ডে যাওয়ার সুযোগ ঘটে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ১৯-২০ ব্যবধানে হেরে গেলেও কর্তৃপক্ষের সুনজরের কারণে রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহনের জন্য বৃত্তি লাভ করেন সুরকৃষ্ণ চাকমা। ২০১৫ সালে কিকবক্সিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত লন্ডন প্রবাসী আলী জ্যাকোর একান্ত সহযোগীতায় লন্ডনের পিকক জিমে বিশ্বমানের কোচের সান্নিধ্যে ট্রেনিং এর সুযোগ পান যা তার প্রতিভাকে এক নতুন মাত্রায় নিতে সক্ষম হন।

ইন্ডিয়ার হরিয়ানা রাজ্যে ২০১৮ সালে আবারো ৫ মাস ট্রেনিং এর সুযোগ পেয়ে হরিয়ানা রাজ্যের স্টেট চ্যাম্পিয়নকে প্রথম ম্যাচেই হারানো এই প্রতিভাবান বক্সার ২০১৯-এ নেপালে অনুষ্ঠিত সাউট এশিয়ান গেমস এ বক্সিং এ ৬০ কেজি ওজনের ক্যাটাগরিতে অর্জন করেন বাংলাদেশের পক্ষে ব্রোঞ্জ পদক।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন