parbattanews

‘রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি-বান্দরবানেও ট্রেন যাবে’

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের মতো পার্বত্য জেলাগুলোতেও ট্রেন চলাচল করবে ।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিরা) নতুন স্টেশনের ভবন নির্মাণ ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নিরাপদ বাহন হিসেবে রেল একটি স্বীকৃত বাহন। এক সময় রেলের কোনো অভিভাবক ছিল না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেলের জন্য আলাদা একটি মন্ত্রণালয় করেছেন। এখন রেলে নানামুখী উন্নয়ন কাজ চলছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ট্রেন যাচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণাধীন। চট্টগ্রাম থেকে চুয়েট হয়ে কাপ্তাই পর্যন্ত ট্রেন যাবে। ধাপে ধাপে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের মতো পার্বত্য জেলাগুলোতে ট্রেন চলাচল করবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম স্পিড ট্রেন দেওয়া হবে। এটি হলে মাত্র দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাতায়াত করা যাবে। বন্দরের বে-টার্মিনাল কেন্দ্রিক রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এসব হলে চট্টগ্রাম হবে সাংহাই সিটি। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রেলের প্রত্যেকটা উন্নয়ন পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। কারণ সামনে দ্বিতল ট্রেন আসতে পারে। বিভিন্ন ব্রিজ যতটা সম্ভব উঁচু করতে হবে।

ফজলে করিম বলেন, কুমিরার এ স্টেশনটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত। এ স্টেশনে আমি প্রথম এসেছি। আমি যখন এসেছি, এখানের কাজ দ্রুত করতে হবে। আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু করতে হবে। আমি আসার পথে দেখলাম, স্টেশনের পথ খুব সংকীর্ণ। দ্রুত ভালোভাবে এই কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিরা) স্টেশন নির্মাণের জন্য আমাকে দুজন সংসদ সদস্য ডিও লেটার দিয়েছেন। এজন্য আমি দ্রুত কাজ শুরু করছি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য শাটল ট্রেন দেওয়া যায় কি না দেখতে হবে। এ স্টেশনের অ্যাপ্রোচ রোড আরও সুন্দর করা হবে ও একটি বড় মসজিদ নির্মাণ করা হবে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন প্রমুখ।

Exit mobile version