রাজস্থলীতে চাঁদার দাবিতে মগ পার্টির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

fec-image

পার্বত্যাঞ্চলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের জনজীবন। নির্ধারিত হারে চাঁদা না পেয়ে প্রবীণ ব্যবসায়ীকে মারধর করার সময় উত্তেজিত জনতার হাতে দুই চাঁদাবাজ আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ৮টায় রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলাধীন বাঙ্গালহালিয়াতে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা চাঁদাবাজির অভিযোগে পাহাড়ি সংগঠন এমএনপি’র সশস্ত্র ক্যাম্প আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে।

বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এমদাদুল হক মিলন জানান, সকালে সন্ত্রাসী গ্রুপ এমএনপি’র কয়েকজন সশস্ত্র সদস্য বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী আজিজ সওদাগরের দোকানের সামনে একজন খুচরা ব্যবসায়ীকে চাঁদা কম দেওয়ার অপরাধে মারধর করতে থাকে। এসময় প্রবীণ ব্যবসায়ী আজিজ উক্ত চাঁদাবাজদের বাঁধা দিলে চাঁদাবাজরা আজিজকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এতে করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা এগিয়ে এসে এম.এন.পি’র সদ্যদের ঘিরে ফেলে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে অস্ত্রসহ দুই সদস্যকে আটক করে।

উত্তেজিত জনতা বাঙ্গালহালিয়া বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ রেখে বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে বাজারের পাশে অবস্থিত এম.এন.পি’র গ্রুপের ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিক্ষুব্ধ জনতার সাথে আলোচনা করে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী বেলা দুইটার পর থেকে দোকান-পাট খুলতে শুরু করেন।

এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩ কোটি টাকার লেনদেন হওয়া ঐহিত্যবাহী বাঙ্গালহালিয়া বাজারটিতে বর্তমানে জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি উপজাতীয় সশস্ত্র সংগঠনের জন্য মোট চার দফায় চাঁদা আদায় করা হয়। কয়েকগুন বেশি হারে চাঁদা পরিশোধে বেহাল অবস্থায় অনেক ব্যবসায়ী ইতোমধ্যেই বাজারে আসা বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের ত্রাহি অবস্থা।

তারপরও এমএনপি’র চাঁদা আদায় বন্ধ হচ্ছে না। বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের নানান অভিযোগ শুনে নিরাপত্তাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আঞ্চলিক দলের সন্ত্রাসীদের উৎখাতসহ কোনো চাঁদাবাজকে বাঙ্গালহালিয়া ও রাজস্থলী উপজেলায় অবস্থান নিতে দেওয়া হবে না বলেও আশ্বাস প্রদান করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন