parbattanews

রাজস্থলীর বাঙালহালিয়াতে চলছে অবাধে চোলাই মদের ব্যবসা

প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়াতে অবাধে চলছে চোলাই মদের ব্যবসা। রাইখালী কারিগর পাড়া পার হয়ে বাজারে ঢুকতেই চোখে পড়ে চোলাই মদ বিক্রি করা পরিবারগুলোর দুর্গন্ধময় পরিবেশ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কুদুম ছড়া, নাইক্যছড়া, কাকড়াছড়ি, ডাকবাংলা পাড়া এলাকার বেশ কটি পরিবার সংসার চালাচ্ছেন এই চোলাই মদ বিক্রি করে। এতে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকবার চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে এখানকার চোলাই মদ ও মদ তৈরীর সরঞ্জাম ধ্বংস করলেও অদ্যাবধি বন্ধ করা যায়নি রাজস্থলীর বাঙালহালিয়া এলাকার চোলাই মদের ব্যবসা। দিনের পর দিন তৈরী ও পাচার হচ্ছে চোলাই মদ। সম্প্রতি কয়েক দিন আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরীর নেতৃত্বে বিপুল পরিমান বাংলা মদ জব্দ করে। তার পরও থেমে নেই মদ পাচার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বাজারে লোকচক্ষুর সামনে এভাবে মাদকের ব্যবসা এলাকার সমাজকে নষ্ট করবে।

এই ব্যপারে চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, মাদকের ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায় জড়িতদের ব্যাপারে কোন তথ্য থাকলে আমাদের জানান। নাম পরিচয় গোপন রেখে আমরা অভিযান পরিচালনা করব। তিনি আরো জানান, মাদকের সাথে জড়িত কেউ ছাড় পাবেনা।

এব্যাপারে বাঙালহালিয়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম জানান, বেশ কয়েকবার প্রশাসন এই মদ পাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে এবং বিপুল পরিমান চোলাই মদ ধ্বংস করার পরেও প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই তারা মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে করে তরুণ ও যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে সরকার মাদককে না বলার পক্ষে।

পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতীয়দের সীমাবদ্ধের মধ্যে মদ তৈরি করে নিজ নিজ বাড়িতে সেবন করার কথা থাকলেও মদের ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তাই যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। নইলে অদুর ভবিষ্যতে যুব সমাজ ধ্বংসে পরিণত হবে।

Exit mobile version