রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে আওয়ামী লীগ নেতা

fec-image

বান্দরবানে পাহাড় কেটে চলছে বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির কাজ। রাত গভীর হলেই চলে পুরোদমে পাহাড় কাটার কাজ। ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে পরিবেশ ও পাহাড়। পৌর শহরে কালাঘাটা এলাকায় চলছে পাহাড় কাটা মহোৎসব। বিশাল টিলাকে সমান্তরালে পরিণত করতে পাহাড় কাটার কন্ট্রাক্ট নিয়েছে কালাঘাটা ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টিটু বড়ুয়া।

বান্দরবান জেলা সদরের পৌরসভা কালাঘাটা এলাকায় রাত নামলেই পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে শিশু পরিবার শিক্ষিকা মেসিং প্রু মারমা ও টিটু বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। এভাবে তিনদিন ধরে প্রতিরাতেই চলছে স্কেভেটর দিয়ে নির্বিচারে পাহাড় কাটা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গভীর রাতে বিশাল বিশাল পাহাড় কাটা হয়। স্কেভেটরের শব্দে ঘুম হারাম হয়ে যায় আশেপাশে বসতঘরের মানুষ। তাছাড়া প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে এসব অবৈধ কাজ। একজন সরকারি শিক্ষিকা কীভাবে এমন অপরাধমূলক কার্যকলাপের জড়িত হয় সে ব্যাপারে হতবাক স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরে কালাঘাটা এলাকায় শিশু পরিবার গাঁ ঘেষে বিশাল একটি পাহাড়। সেখানে রাত গভীর হলে ছোট স্কেভেটর সাহায্যে কাটা হচ্ছে পাহাড়। প্রতিদিন রাত বারোটার পর থেকে ভোর পর্যন্ত পাহাড় কাটা চলে। মাটি সরবরাহ জন্য তৈরী করা হয়েছে সড়কও। এসব অপরাধমূলক কার্যকলাপের জড়িত রয়েছে শিশু পরিবারে সরকারী শিক্ষিকা ও আওয়ামী লীগ নেতা।

এদিকে কালাঘাটা পৌরশহর মূলত পাহাড় ধ্বস প্রবণ এলাকা। সেখানে প্রতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারায় শতাধিক মানুষ। তাছাড়া সেখানে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। এই পাহাড় কাটার ফলে আশেপাশে বসতঘর পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহেদ ও নুরু নাহার বলেন, প্রতিদিন রাত বারোটা পর পাহাড় কাটা চলে। স্কেভেটর শব্দে আশেপাশে মানুষজন ঘুমাতে পারি না । তাছাড়া এই টিলা কাটলে পাহাড় ধ্বসে সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড় কাটা বন্ধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জানান তারা।

আওয়ামী লীগ ও স্কেভেটরের মালিক টিটু বড়ুয়া পাহাড় কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ছোট স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটার কন্ট্রাক্ট নিয়েছি। পরিবেশে অধিদপ্তর থেকে শিক্ষিকা ও আমি কোন অনুমতি নেয়নি।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন বলেন, পাহাড় কাটার অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন