রামগড়ের ক্রমাবনতি নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের কারণেই: কংজরী চৌধরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রামগড়:

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কংজরী চৌধুরী বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী সাবেক প্রাচীন মহকুমা রামগড়ের ক্রমাবনতির জন্য রাজনৈনিক নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও  বিভেদই একমাত্র দায়ি। দ্বন্দ্ব- বিভেদের কারণে প্রাচীন মহকুমা হওয়া সত্ত্বেও রামগড় জেলায় রুপান্তরিত হয়নি। হয়েছে মহকুমা থেকে উপজেলায় অবনতি। শুধু তাই নয়, রামগড়ের দুটি ইউনিয়নও  কেটে অন্য উপজেলায় যুক্ত করা হয়েছে। এ  ক্রমাবনতির পরও নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি। এখনও চলছে।

মঙ্গলবার রামগড়ে বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত পাহাড়িয়া মন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী  রামগড়ের ৩১ জন শিল্পীর মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্মানীর চেক বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সাংবাদিক রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এ চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে ইসরাত, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মো. ফরহাদ, রামগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র আহসান উল্লাহ, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার, ত্রিপুরা সংসদের সাবেক সভাপতি সুরেশ মোহন ত্রিপুরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী আরও বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। অথচ তাঁরাও দ্বন্দ্বে লিপ্ত। নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে রামগড় প্রেসক্লাবটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার পরিষদ প্রেসক্লাব ভবনটি নির্মাণ করে দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ক্রীড়া, সংস্কৃতিতে রামগড়ই এ অঞ্চলের সেরা। এখানে বহু প্রতিভাবান শিল্পী ও খেলোয়াড় এখানে আছে। রামগড়কে নিজের প্রিয় এলাকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হারানো গর্ব, ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে দ্বন্দ্ব, বিভেদ ছেড়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। রামগড় – সাব্রুম স্থলবন্দর চালু হলে এখানকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন