রামগড়ে ছেলের মারামারি ঠেকাতে এসে আহত হলেন দুই বৃদ্ধ পিতা

fec-image

খাগড়াছড়ির রামগড়ে এক পৌর কাউন্সিলরের লাঠির আঘাতে মাওলানা মীর হোসেন (৬০) নামে এক মুফতির মাথা ফেটে গেছে। অন্যদিকে, ওই মুফতির পুত্রের ইটের আঘাতে পৌর কাউন্সিলর জামাল শিকদারের পিতা মোহাম্মদ আলীরও (৬০) মাথা ফেটে যায়। আহত এ দুই ব্যক্তিকে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জখম গুরুতর হওয়ায় মোহাম্মদ আলীকে রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ছেলের মারামারি ঠেকাতে এসে এভাবে আহত হলেন এ দুই বৃদ্ধ পিতা। শুক্রবার(২ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খাল থেকে বালু তোলাকে কেন্দ্র করে পৌর কাউন্সিলর জামাল শিকদারের সাথে মুফতি মাওলানা মীর হোসেনের পুত্র সৈকতের বিরোধের জের ধরে দুজনের আক্রমন পাল্টা আক্রমনে শিকার হন তাদের পিতারা।

রামগড় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুফতি মাওলানা মীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তৈচালা খাল হতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে রামগড় পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিল জামাল শিকদারের সাথে তার পুত্র সৈকতের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার দুপুরে নিজ এলাকা চৌধুরীপাড়ায় বিনা উসকানিতে কাউন্সিলর জামাল তার পুত্র সৈকতকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে মারে। এতে সৈকতও পাল্টা আক্রমন করে। এ অবস্থায় তিনি সৈকতকে নিভৃত করতে এবং জামালকে নিভৃত করতে তার পিতা মোহাম্মদ আলী এগিয়ে আসেন। পাল্টাপাল্টি ইট আক্রমনের এক পর্যায়ে ইটের আঘাতে জামাল শিকদারের পিতা মোহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। মুফতি মাওলানা মীর হোসেন অভিযোগ করেন, তিনি আহত মোহাম্মদ আলীকে সেবা শুশ্রূষা করতে গেলে কাউন্সিলর জামাল শক্ত বাঁশের টুকরো দিয়ে তার মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যাওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

অন্যদিকে, রামগড় পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল শিকদার মুঠোফোনে সাংবাদিকের কাছে মুফতি মাওলানা মীর হোসেনের মাথায় আঘাত করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ মুফতির ছেলে সৈকত আমার আহত পিতার ওপর দ্বিতীয়বার লাঠির আঘাত করতে গেলে আঘাতটি মুফতির মাথায় লাগে। কাউন্সিলর দাবি করেন, এ সময় তিনি ঘটনাস্থল হতে ৭০-৮০ গজ দূরে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার পিতাকে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথার আঘাত খুবই গুরুতর বলে চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন।

এদিকে, রামগড় থানার ওসি মুহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, খাল থেকে বালু তোলার জের ধরে পৌর কাউন্সিলর জামাল ও মুফতি মাওলানা মীর হোসেনের ছেলে সৈকতের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুজনের পিতা আহত হয়েছেন। মুফতি মাওলানা মীর হোসেনের পক্ষে কয়েকজন থানায় এসে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে গেছেন। তাদের লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কাউন্সিলর, রামগড়
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন