parbattanews

রামগড়ে ছয়টি বসতঘর পুড়ে ছাই ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতির দাবি

খাগড়াছড়ির রামগড়ে অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। রাস্তা না থাকাই ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারেননি।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানাযায়, রামগড় পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বৈরাগী টিলা এলাকায় বুধবার (১১মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ইমাম হোসেনের রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত তা বসত ঘরে এবং পরে একে একে পাশের ৫টি বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে।

নিমিষেই টিনশেডের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কেউ কোন মালপত্রই ঘর থেকে বের করতে পারেননি।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও রাস্তা না থাকায় গাড়ি যেতে পারেনি। এছাড়া জলাশয় না থাকায় আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় স্থানীয় লোকজনদের।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছার আগেই ঘরগুলো পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একজন খোতেজা বেগম বলেন, তার ছেলে ইমাম হোসেনের রান্না ঘরের চুলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

তিনি জানান, রান্নার জন্য লাকড়ির চুলায় গোস্তর ডেকসি বসিয়ে তিনি বাহিরে যান। একটু পরে রান্নাঘরে ঢুকে দেখেন দাও দাও করে আগুন জ্বলছে। রান্নাঘরে রাখা লাকড়িতে আগুনের ফুলকি পড়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি আরও জানান, ঐ ঘরে ৩টি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। আগুনে এগুলো বিস্ফোরণ হওয়ায় আগুনের তীব্রতা বাড়ে এবং দ্রুত পাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

আগুনে ইমাম হোসেনের ঘর ছাড়াও তার আরেক ছেলে সাদ্দাম হোসেন এবং আত্মীয় সেরাজ মিয়া ও তার তিন ছেলে আলা উদ্দিন, ইউনুস ও তাজুলের ঘর পুড়ে গেছে।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রামগড় পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ শাহজাহান কাজী রিপন, প্যানেল মেয়র আহসান উল্লাহ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবুল বসর, মহিলা কাউন্সিল কনিকা বড়ুয়া ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর দেখতে যান।

পৌরসভার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা এবং প্রত্যেক পরিবারের জন্য নগদ ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।

Exit mobile version