রামগড়ে জামাত শিবিরের ইন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা বাহার উল্লাহকে হেনস্তার অভিযোগ
রামগড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার উল্লাহ মজুমদার অভিযোগ করেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী জামাত- শিবিরের ইন্ধনে গত ৬ অক্টোবর তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডাইরি করলেও পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
রবিবার (১৮ অক্টোবর) উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। মৌখিক বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার উল্লাহ মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ অক্টোবর রামগড় পৌর এলাকার সোনাইপুল আল ফালাহ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আহবানে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি অংশ নেন। সমাজের বাসিন্দা হিসেবে মসজিদের সার্বিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেয়ার পর কতিপয় যুবক মসজিদের ভিতরে তাঁর ওপর চড়াও হয়। তারা তাঁকে টানাহেঁচড়া করে এবং নানা হুমকি ধমকি দেয়।
তিনি বলেন, ঐ যুবকদের কখনও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে দেখা যায়নি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইতিপূর্বে ঐ মসজিদে নিয়োজিত জামাত সমর্থিত দুজন ইমাম বিতর্কিত তৎপরতার জন্য তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের বিরোধীতা করেন। পরে তাদেরকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার উল্লাহ মজুমদার বলেন, দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষের ওপর স্বাধীনতা বিরোধী জামাত- শিবিরের আক্রমণ হামলার ঘটনার ধারাবাহিকতায তাঁর ওপরও এ হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গত ১৪ অক্টোবর রামগড় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু পুলিশ এখনও ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজুর রহমান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ভুপেন ত্রিপুরা, জাফর আহমেদ, হরেন্দ্র ত্রিপুরা, মুছা মিয়া, ফকির আহমেদ, আবুল খায়ের, প্রমোদ বিহারী নাথ, আব্দুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার উল্লাহ মজুমদারের অভিযোগের ব্যাপারে রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, সোনাইপুল মসজিদে কমিটি গঠন নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার উল্লাহ মজুমদারও জড়িয়ে পড়েন। ওসি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার উল্লাহ মজুমদার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশ তাঁর অভিযোগ গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।