রামগড়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি রেকর্ডের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
খাগড়াছড়ির রামগড় বারৈয়ারহাট সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের টাকা হাতিয়ে নিতে কতিপয় ব্যক্তি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি ও অন্যের রেকর্ডীয় ভূমি নিজেদের মালিকানায় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২০ নভেম্বর) রামগড় সোনাইপুল জনগণের ভূমি রক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
রামগড় বাজারে মাহিয়া-মনামি মার্কেটের দোতলায় এই সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ভূমি প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর সহযোগিতায় স্থানীয় কয়েকজন ভূমিদস্যু রামগড় পৌরসভার সোনাপুর বাজার থেকে রামগড় বাজার পর্যন্ত সিএনবি রাস্তার দুই পাশে প্রায় ১২০০ শতক ভূমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন জনের নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সুরাহা না পেয়ে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে ।
সাংবাদ সন্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, কতিপয় ব্যক্তি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পরিকল্পিতভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের রেকর্ডীয় ভূমি আত্মসাৎ করতে নানা ফন্দি করছে। বক্তরা অবিলম্বে যথাযথ তদন্ত করে জালিয়াতচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ও প্রকৃত মালিকদের নামে তাদের ভূমির মালিকানা ফেরত দেওয়ার জোর দাবি জানান।
সাংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি সাবেক সংসদ একেএম আলীম উল্লাহ, ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বনানী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফারুক রহমান, সংগঠনের আহ্বায়ক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও রামগড় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, রামগড় পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কার্উন্সিলর মো. আবুল কাশেম ও তার ছেলে ওমর ফারুক।