রামগড়ে ফের কন্যাশিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা; ফেনী থেকে আসামি গ্রেপ্তার

fec-image

মায়ের সহযোগিতায় বাবা কর্তৃক নিজ কন্যা ধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রামগড়ে ফের কন্যা শিশুকে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৯ জুলাই) বিকালে উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের থলিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে থানায় মামলা রুজুর পর ঐ রাতে পুলিশ ফেনী জেলা সদর থেকে যৌন নিপীড়নকারি যুবককে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, থলিপাড়ার বাসিন্দা দ্বিতীয শ্রেণীর ছাত্রী (৭) সোমবার বিকালে বাড়ির পাশের বন থেকে ছাগল আনতে যায়। একা পেয়ে আব্দুস সাত্তার (৩০) নামে এক যুবক ওই কন্যা শিশুটিকে প্রলোভন দেখিয়ে পাশের একটি পুরাতন কবরস্তানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এদিকে ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় বাবা তার খোঁজে ঐ স্থানে গেলে সাত্তার তার মেয়েকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা সচক্ষে দেখেন। এ সময তাকে দেখে ঐ যুবক দৌড়ে পালিয়ে যায়।

শিশুটির বাবা জানান, সাত্তার এক হাতে মেযেটির মুখ চেপে ধরে রাখে যেন সে চিৎকার করতে না পারে। তিনি বলেন, ঐ সময তিনি ওখানে না গেলে মেয়েটির সর্বনাশ হযে যেতো। অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তার থলিপাড়ার বাসিন্দা ফজলু লিডারের ছেলে এবং এক সন্তানের জনক।

এদিকে, শিশুটির বাবা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে সোমবার রাত প্রায ১১টার দিকে রামগড় থানায এসে একটি এজাহার দাখিল করেন। রাতেই আব্দুস সাত্তারকে আসামী করে ধর্ষণের চেষ্টার সংশ্লিষ্ট ধারায থানায একটি মামলা রুজু হয়। মামলা নস্বর-৪, তারিখ ২৯/৭/১৯।

এদিকে, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটিয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তার সোমবার বিকালেই ফেনীতে তার এক বোনের বাসায পালিযে যায। সোমবার রাত ১২টার দিকে মামলা রুজুর পরই পুলিশ আসামীকে ধরতে মাঠে নামে। ফেনীতে আসামীর অবস্থানের কথা গোপন সূত্রে পেযে গভীর রাতেই পুলিশ ছুটে যায সেখানে। এসআই তারেকের নেতৃত্বে রামগড় থানার পুলিশের একটি দল ফেনী সদরের বোনের বাসা থেকে আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।

থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, ভিকটিমকে মেডিক্যাল টেস্ট করাতে মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হযেছে। অন্যদিকে, আসামীকে আদালতে সোপর্দ করার পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করা হযেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন