রামগড়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে উপজাতীয় কিশোরীকে ধর্ষণ


খাগড়াছড়ির রামগড়ের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা বড়খেদায় এক উপজাতীয় কিশোরীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে আ্ব্দুল মান্নান প্রকাশ মনু মিয়া(২২) নামে এক বখাটে।
বৃহস্পতিবার(৫ মার্চ) রাতে রামগড় থানায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, শুক্রবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ধর্ষণের অভিযুক্ত মনু মিয়াকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, উপজেলার ১নং রামগড় ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বড়খেদা(বেলতলি) নামক দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বুধবার(৪ মার্চ) বিকালে ১৫ বছরের উপজাতীয় কিশোরীকে একাকী পেয়ে তার বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে পাশের জঙ্গলে ধর্ষণ করে আব্দুল মান্নান মনু মিয়া নামে এক বখাটে। ওই সময় বাসায় ওই কিশোরীর মা, বাবা কেউ ছিলেন না।
বখাটে মনু মিয়া জঙ্গলে জোরপূর্বক ধর্ষণের পর এক পর্যায়ে ওই কিশোরী কোন রকমে তার কাছ থেকে ছুটে জঙ্গলের ভিতরে লুকিয়ে যায়। পরে রাত আড়াইটার দিকে সে বাসায় ফিরে ঘটনাটি বাবা-মাকে জানায়। ধর্ষণের অভিযুক্ত মনু মিয়া পার্শ্ববর্তী মুসলিমপাড়া গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তারা রামগড় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ইসলামপুরে(বল্টুরাম টিলা) বসবাস করছে।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ভিকটিমের গলায় চেপে ধরার দাগসহ ধর্ষণের কিছু আলামত পাওয়া গেছে। তবে ডাক্তারি পরীক্ষার পর পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিমের মা ওয়াপ্রু মারমা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, আব্দুল মান্নান মনু মিয়াকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শুক্রবার ভিকটিমকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরও বলেন, আসামীকে গ্রেফতার করতে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে রামগড়ের বৈদ্যপাড়া-প্রেমতলা রাস্তায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ইউপিডিএফের উদ্যোগে।