parbattanews

রামগড়ে মহিলা অধিদপ্তরের ২০০০ মাতৃত্বকালিন ও ল্যাক্টেটিং ভাতাভোগি টাকা তুলতে পারছে না

রামগড়ে মহিলা অধিদপ্তরের প্রায় দুই হাজার জন মাতৃত্বকালিন ও ল্যাক্টেটিং ভাতাভোগি ৫ মাস যাবৎ তাদের শিওর ক্যাশ মোবাইল একাউন্ট থেকে ভাতার টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না। রুপালি ব্যাংকের এমএফএস(মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস) শিওর ক্যাশ‘র খাগড়াছড়ির ডিস্ট্রিবিউটরের সাথে লেনদেনের সমস্যার কারণে এজেন্টরা গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছেনা বলে তাদের দাবি।

এদিকে, এজেন্ট ডিস্ট্রিবিউটর দ্বন্দ্বের কারণে বর্তমান করোকালীন সংকটময় পরিস্থিতি ও ঈদকে সামনে রেখে সরকারের দেয়া বিশেষ এ ভাতার টাকা তুলতে না পারায় ভাতাভোগিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, উপজেলার দুটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মাতৃত্বকালিন ও ল্যাক্টেটিং ভাতাভোগি রয়েছে প্রায় দুই হাজার জন। রুপালি ব্যাংকের এমএফএস শিওর ক্যাশ‘র একাউন্টে এসব ভাতাভোগিকে সরকার এ বিশেষ ভাতার টাকা প্রদান করে। ভাতাভোগিরা স্থানীয় এজেন্টের কাছ থেকে নিজ নিজ একাউন্ট থেকে ভাতার টাকা উত্তোলন করেন। কিন্ত গত প্রায় ৫ মাস থেকে স্থানীয় এজেন্টরা পেমেন্ট না দেয়ায় ভাতাভোগিরা টাকা তুলতে পারছেন না।

জানাযায়, রামগড়ে শিওর ক্যাশ‘র ৩০-৩৫ জন এজেন্ট রয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলার একমাত্র ডিস্ট্রিবিউটরের অধীনে এসব এজেন্টদের নিয়োগ দেয়া হয়। ভাতাভোগি শিওর ক্যাশ‘র একাউন্টহোল্ডারা অভিযোগ করেন, তদের একাউন্টে সরকারি ভাতার টাকা জমা হলেও এজেন্টদের কাছে গিয়ে ক্যাশ আউট বা টাকা তুলতে পারছেন না। তারা এজেন্টরে দোকানে দোকানে ঘুরে শেষ পর্যন্ত নিষ্ফল হয়ে ফিরতে হচ্ছে।

রামগড় উপজলা মহিলা বিবষয়ক কর্মকর্তা মো জাহাঙ্গীর আলম এর সত্যত্যা স্বীকার করে জানান, শিওর ক্যাশ থেকে ভাতার টাকা তুলতে না পেরে প্রতিদিন অসংখ্য ভাতাভোগি তার অফিসে এসে অভিযোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন, এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। রুপালী ব্যাংকের রামগড় শাখা ব্যবস্থাপক মো. আজাদ হোসেন বলেন, শিওর ক্যাশ‘র ব্যবস্থাপনার সাথে ব্যাংকের শাখার কোন সম্পৃক্ততা নেই্।

গ্রাহকদের ক্যাশ আউট করতে না পারার ব্যাপারে শিওর ক্যাশ‘র রামগড়ের বেশ কয়েকজন এজেন্ট জানান, আগে ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিদিনের ব্যালেন্সের ক্যাশ টাকা ঐদিন বা পরের দিন এসআর বা রুপালি ব্যাংকের মাধ্যমে এজেন্টের কাছে পাঠাতেন। কিন্তু গত প্রায় ৬ মাস হতে লেনদেনের এ নিয়ম পালন করা হচ্ছে না। এক লক্ষ টাকা ব্যালেন্স না হলে ডিস্ট্রিবিউর এজেন্টদের ক্যাশ দেয় না। এ কারণে এজেন্টরা গ্রাহকদের সাথে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে শিওর ক্যাশ‘র খাগড়াছড়ির ডিস্ট্রিবিউটর তৈয়বী এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. তারেক বলেন, এজেন্টদের অভিযোগ সত্য নয়। প্রতিদিনই খাগড়াছড়ি থেকে এস.আর রামগড়ে গিয়ে এজেন্টদের ব্যালেন্স অনুযায়ি পেমেন্ট দিয়ে আসছে।

Exit mobile version