খাগড়াছড়ির রামগড়ে শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে থানার চন্দ্র পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বেলায়েত হোসেনকে চাকুরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ মে) রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত এ তথ্য নিশ্চত করেন। তিনি বলেন , ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে নৈতিক স্খলনের গুরুতর অভিযোগে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ বিধি ২(খ) অনুচ্ছেদ মোতাবেক তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনের স্বাক্ষরে গত শনিবার এ বরখাস্তের আদেশ জারি হয়।
গত শুক্রবার(১৩ মে) যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর মা রামগড় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে ৪দিনেও পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের দাবি, আসামি গা ঢাকা দেয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। তবে পুলিশি অভিযান চলছে।
এদিকে, যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক বেলায়েতকে দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান সচেতন ছাত্র সমাজ। সোমবার (১৬ মে) সকালে ব্যানার নিয়ে রামগড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজাতীয় ছাত্র ছাত্রীরা। রামগড় লেকপার্কের বিজয় ভাস্কর্য চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজার এলাকায় খাগড়াছড়ি সড়কের পাশে মানববন্ধন করেন। বিক্ষোভকারীরা শিক্ষক বেলায়েত হোসেনসহ সাজেকে অপর এক ত্রিপুরা কিশোরীর ধর্ষণকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান। মানববন্ধনে ফটিকছড়ি কলেজের ছাত্র বাহাদুর ত্রিপুরা বক্তব্য রাখেন।
অপরদিকে, শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় থানার চন্দ্রপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবারও অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী স্কুলে আসেনি বলে জানিয়েছেন এক শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণসহ গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার (১৪ মে) স্কুল বয়কট করে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বৃহষ্পতিবার (১২ মে) বেলা ১.০০মি. স্কুল ছুটির পর ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হোমওয়ার্কের কথা বলে শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে রেখে সহকারি শিক্ষক বেলায়েত হোসেন ওই ছাত্রীর গোপনাঙ্গসহ র্স্পশকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। একইভাবে ক্লাস চলাকালে আরও কয়েকজন ছাত্রী ঐ শিক্ষকের হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
