parbattanews

রামগড় চা বাগানে করোনা সংক্রমণরোধে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

রামগড় চা বাগানে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বহিরাগত লোকজনদের বাগানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর বিধিনিষেধজারি করেছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চা শ্রমিকদেরও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাগানের বাহিরে যাওয়ার ব্যাপারেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। শ্রমিকদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে বাংলাদেশি চা সংসদের নির্দেশ মোতাবেক এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। করোনাকালেও বিধিনিষেধ মেনে উৎপাদনও অব্যাহত রয়েছে বাগানটিতে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা মহামারি ভয়াবহ রুপ নেয়ার প্রেক্ষিতে বাগান চা শ্রমিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বাংলদেশিয় চা সংসদ জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ বিধিনিষেধজারির চিঠি পাঠায়। এতে শ্রমিকদের করোনা আক্রা্ন্ত হওয়া থেকে নিরাপদ থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতন করা, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাগানের বাহিরে যাওযা-আসা এবং বহিরাগত লোকজন ও যানবাহন বাগানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ র্কাযকর করার র্নিদেশনা দেয়া হয়। এরপ্রেক্ষিতে বাগান কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে এসব বিধিনিষেধ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারত সীমান্ত লাগোয়া রামগড় চা বাগানের আয়তন প্রায় ১৫শ একর। সংখ্যা প্রায় তিন হাজার শ্রমিকসহ তাদের পরিবারের লোকসংখ্যা প্রায় ৫ হাজার।

সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, রামগড় চা বাগানের প্রধান দুটি প্রবেশ পথের গেইট তালাবদ্ধ। ১নং গেইটে দায়িত্বরত প্রহরী মনি লাল ত্রিপুরা জানান, বহিরাগত কোন লোক ও যানবাহন বাগানে প্রবেশ নিষিদ্ধ। গেইটে প্রবেশ নিষিদ্ধের সাইনর্বোড ও বাংলাদেশিয় চা সংসদের জারিকরা চিঠির ছায়াকপি টাঙানো রয়েছে। বাগানের সেকশনগুলোতে চা শ্রমিকরা দূরত্ব বজায় রেখে পাতা তুলছেন। বাগানের বাসিন্দা ছাড়া বহিরাগত কোন লোকজনকে দেখা যায়নি।

কারখানার প্রবেশদ্বারে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাত ধোয়া ও জীবানুমুক্ত স্প্রে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বাগানের চিকিৎসা কেন্দ্র ও অফিস প্রাঙ্গনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, নিজেকে ও পরিবার এবং প্রতিবেশিকে নিরাপদ রাখতে তারা কেউ বাগানের বাহিরে যান না। কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে যেসব পর্রামশ দিয়েছে, সেগুলো তারা পালন করছেন।

বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, শ্রমিকদের সুস্থ রেখে চা উৎপাদন অব্যাহত রাখতে যা যা দরকার, বাগানের মালিকপক্ষ তার সবকিছুই ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, শ্রমিকরা যাতে বাহিরে যেতে না হয়, সেজন্য বাগানের স্কুল মাঠে সাপ্তাহিক হাট বসানো হয়েছে। শ্রমিক-কমচারিদের মাকস্, স্যানিটাইজার ইত্যাদি দেয়া হয়েছে। প্রতিদিনই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সচেতনামূলক পরামশ দেয়া হয়।

তিনি বলেন, বাগানকে মহামারি করোনামুক্ত রাখতে যা যা করা দরকার, সাধ্যমত সবকিছুই করা হচ্ছে। বাংলাদেশি চা সংসদের দেয়া নির্দেশনা কঠোরভাবেই পালন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বাগান পঞ্চায়েত নেতারাও আন্তরিকভাবে ভুমিকা রাখছেন। ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদিন আরও জানান, শ্রমিক, কর্মচারি, পঞ্চায়েত সবার আন্তরিকতায় চা উৎপাদনও সন্তোষজনকভাবে অব্যাহত আছে।

Exit mobile version