রামুতে জমি নিয়ে বিরোধ, হামলায় আহত ৩

fec-image

রামুর চাকমারকুলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে রামু থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

রোববার (১ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় রামুর চাকমারকুল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছালেহ আহমদ পাড়া এলাকার বজল আহমদের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত হাজী নুরুল হকের ছেলে মো. আমিন উল্লাহ ছিদ্দিকী (৫৫), মো. আমিন উল্লাহ ছিদ্দিকীর ছেলে সোহাইব ছিদ্দিকী আদিল (২২) ও সোহাইল বিন আমিন (১৯)। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মো. আমিন উল্লাহ ছিদ্দিকীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রামু থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এ ঘটনায় রামু থানায় মামলা দায়ের করেছেন গুরতর আহত মো. আমিন উল্লাহ ছিদ্দিকী। মামলার আসামিরা হলেন, পশ্চিম চাকমারকুল এলাকার মৃত মো. হাছান প্রকাশ লাল মিয়ার ছেলে আবু তাহের, আবু বক্কর ও আবদুর রহমান, মোক্তার আহমদ প্রকাশ ধলা মিয়ার ছেলে ছলিম উল্লাহ, ১নং ওয়ার্ডের মৃত হাজী ছিদ্দিক আহমদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মধ্যম মেরংলোয়া এলাকার মৃত মো. ইসমাইলের ছেলে আবদুল গফুর সহ অজ্ঞাত আরো ৪ থেকে ৫ জন।

থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযুক্তরা ব্যক্তিরা সম্প্রতি মো. আমিন উল্লাহ ছিদ্দিকীর স্বত্বঃদখলীয় চলাচলের পথ জবর দখলের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকী-ধমকি দিতে শুরু করে। রোববার সকালে মো. আমিন উল্লাহ ছিদ্দিকী মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্তরা দেশিয় অস্ত্র, লাটি-সোটা নিয়ে তার উপর আকষ্মিক হামলা শুরু করে। হামলাকারীরা মো. আমিন উল্লাহ ছিদ্দিকীকে লোহার রড় ও কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।

এ সময় বাবাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসা ২ ছেলে সোহাইব ছিদ্দিকী আদিল ও সোহাইল বিন আমিনকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে হামলাকারীরা। হামলাকারীরা আমিন উল্লাহর মোটরসাইকেল ভাংচুর এবং তাদের কাছ থেকে মুঠোফোন, নগদ টাকাসহ সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত ৩ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হামলায় অভিযুক্ত আবু তাহের জানান, মারধরের ঘটনাটি সাজানো। উল্টো চলাচলের পথ দখল করে মো. আমিন উল্লাহর পরিবার তাদের হয়রানি করে আসছিলো।

রামু থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন