রামুতে ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’র কার্যক্রম পরিদর্শনে বেলজিয়ামের প্রতিনিধি দল


কক্সবাজার রামুর দুর্গম জনপদে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভিলেজারপাড়া রওশন সরওয়ার শিশু ও বয়স্ক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন বেলজিয়ামের দাতা সংস্থার প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলটির আগমনে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে মুখরিত হয়ে উঠে এ দুটি বিদ্যালয় আঙিনা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন- রেনি, মারিনা, লুক, গ্রিট ও রিতা মেইনেন।
সকাল সাড়ে দশটায় প্রতিনিধি দলটি রামুর কাউয়ারখোপে মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছান। এসময় ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ এর কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ, অভিভাবক, শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন। পরে বিদ্যালয় মাঠে অতিথিদের সম্মানে মনোমুগ্ধকর কুজকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত (ডিসপ্লে) প্রদর্শন করে বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা ছাত্রছাত্রীরা। বেলা ১২ টায় প্রতিনিধি দলটি কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়া রওশন সরওয়ার শিশু ও বয়স্ক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মাসুম বিল্লাহ খান, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. জুয়েল তালুকদার, ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী খান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতবৃন্দ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় দাতা সংস্থার প্রতিনিধি দলটি স্থানীয় দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের যাকাত ফান্ড থেকে বিতরণকৃত ছাগল পালন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ শেষে অতিথিবৃন্দ- লিটল ডক্টরস সেশন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, শ্রেণি কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে চাইল্ড ক্লাবের উদ্যোগে পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বেলজিয়ামের দাতা সংস্থার প্রতিনিধি দল সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে অবহেলিত জনপদে শিক্ষার প্রসারে আরও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. জুয়েল তালুকদার জানান, রামুর দুর্গম এলাকা মৈষকুম এবং ডাকভাঙ্গা গ্রামে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ দুটি বেরসকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি শিশু ও বয়স্ক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর ফলে এসব গ্রামের অসহায় শিশুরা মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে। পাশাপাশি এসব এলাকার দরিদ্র জনসাধারণ খাদ্য, স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে। এসব কার্যক্রম আরো বৃদ্ধিতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।