রামুতে পথ-পুকুর দখলে বাধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে জখম


কক্সবাজার রামুর চাকমারকুল ইউনিয়নের তেচ্ছিপুল এলাকায় চলাচলের সড়ক এবং পুকুর দখলে বাধা দেয়া যুবককে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মো. আরমান (২৯) চাকমারকুল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের তেচ্ছিপুল স্টেশনের উত্তর পার্শস্থ ফারিকুল এলাকার মৃত জাকের আহমদের ছেলে। গত
মো. আরমান জানিয়েছেন, তাদের খতিয়ানভুক্ত চলাচলের পথ দিয়ে ৮-১০টি পরিবারের লোকজন যাতায়াত করে আসছে। সম্প্রতি ওই চলাচলের পথে ঘেরা-বেড়া নির্মাণ শুরু করে শাহাদাৎ হোসেন মারুফ, মো. জুয়েল ও শাহিনা আকতারসহ এক চক্র। এসময় চলাচলের পথ দখলের প্রতিবাদ জানালে জবর-দখলকারীরা তাকে দেশীয় দা, লাটি-সোটা দিয়ে মারধর শুরু করে। হামলাকারীরা একযোগে আরমানকে কুপিয়ে এবং লাটি-সোটা দিয়ে প্রহার করলে আরমান মাটি পড়ে যায়। এসময় বেপরোয়া হামলায় ৫ বছর বয়সী এক শিশুও আহত হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তিনি রামু থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের অপর্মের প্রতিকার চেয়ে ইতিপূর্বে এলাকাবাসী রামু থানা এবং বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু হামলাকারীরা এসবের তোয়াক্কা না করে এলাকায় জমি জবর-দখলসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্টো আবারো হামলা এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে।
হামলার পর স্থানীয়রা গুরতর আহত আরমানকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। খবর পেয়ে রামু থানার এএসআই আশরাফুল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান।
সূত্রে জানা যায়, রামুর খুনিয়াপালং এবং কোটবাজার এলাকা থেকে একদল ভাড়াটে লোকজনের উপস্থিতিতে এ হামলা চালানো হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেয়া শাহাদাৎ হোসেন মারুফ এলাকার নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। ইতিপূর্বে তিনি রাজারকুল এলাকায় টিউবওয়েল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। এছাড়া সম্প্রতি চাকমারকুল কলঘর এলাকায় একটি টর্নামেন্ট চলাকালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার সময় জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হন।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আহমদ, জসিম উদ্দিন, দিলচেহের বেগম ও সাবেকুন্নাহার জানান, শাহাদাৎ হোসেন মারুফ এবং তার সহযোগীদের অত্যাচারে পুরো এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। চক্রটি চলাচলের পথ, স্থানীয় লোকজনের পুকুর জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এলাকাবাসী এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে উল্টো দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।