রামুতে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ
কক্সবাজারের রামুতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরে আহত মনজুরা বেগম (৩৮) রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের পানিরছড়া থলিয়াঘোনা এলাকার বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী আবদু শুক্কুরের স্ত্রী।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাতটায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার মনজুরা বেগম জানিয়েছেন- জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তার নিকটাত্মীয় গোলাম হোছনের ছেলে শামীম ফেরদৌস মার্শাল প্রকাশ মানিক, শফি আলমের স্ত্রী সেতারা বেগম, মৃত ছৈয়দুল হকের স্ত্রী শাকেরা বেগম, ছেলে শাহরিয়ার ফেরদৌস নিশান ও তাদের পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য পরিকল্পিতভাবে দা, লাটি-সোটা নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা, লোহার রড ও লাটি-সোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে মারধর ও পরনের কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি করে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা মনজুরা বেগমকে মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
আহত মনজুরা বেগম আরও জানান- গোলাম হোছনের ছেলে জয়নাল আবেদিন একটি সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন। জয়নাল আবেদিন ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকী দিয়েছিলো। তার (জয়নাল) নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে।
জানা গেছে, এরআগে জয়নাল আবেদিনের বড় ভাই তোরাব আলীর নেতৃত্বে আরও ৫-৬ সহযোগি গত ৯ মার্চ মনজুরা বেগম ও তার বোন ফাতেমা বেগমকে আরেক দফা হামলা চালিয়ে মারধর করেছিলো। এ ঘটনায় দায়ের কোপে আহত মনজুরা বেগমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় মনজুরা বেগম বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং সিআর ১২৬) দায়ের করেন। মামলাটি এখনো তদন্তাধিন রয়েছে।
হামলায় অভিযুক্ত সেতারা বেগম মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন- মনজুরা বেগম নালা ভরাট করায় ২ মাস ধরে তিনি জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন। নালা করার জন্য সবাই টাকা দিলেও সে দেয়নি। উল্টো নতুন করে কেটে দেয়া নালা ভরাট করে দেয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছি। তিনি উল্টো হুমকী দিয়ে বলেন- তারা ভাইবোন ১২ জন আছেন। আবারো কোন অন্যায় করলে ছাড় দেবেন না।
রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য রাশেদা বেগম জানিয়েছেন- হামলার খবর পেয়ে তিনি আহত মনজুরা বেগমকে দেখতে গিয়েছিলেন। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখছেন।
তিনি জানিয়েছেন- মনজুরা বেগমের পরিবারের লোকজনই তাকে মারধর করেছে। মনজুরা বেগম স্বামী ছাড়া একা থাকেন। তার অসহায়ত্বের সুযোগে ইতিপূর্বেও তাকে মারধর করা হয়েছিলো। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানান।