রামুতে বৌদ্ধ বিহারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ মালামাল লুট

রামু প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বৌদ্ধ বিহারে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে বিহারের অধ্যক্ষ ও সেবককে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করেছে। রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞামিত্র বন বিহারে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ২টায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ও পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থল দেখতে যান।

বিহারের অধ্যক্ষ সারমিত্র মহাথের জানান, অস্ত্রধারি ডাকাতদল বিহারে প্রবেশ করে সেখানে ঘুমিয়ে থাকা ধন বড়ুয়াকে মারধর শুরু করে। তার আত্মচিৎকারে তিনিও জেগে কক্ষ থেকে বের হতেই ডাকাতদল তাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখি জিম্মি করে ফেলে। এসময় আরো কয়েকজন ডাকাত বিহারের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় চারটি কক্ষে চারটি আলমিরা ভেঙ্গে লুটপাট চালাতে থাকে। প্রায় ৪৫ মিনিট লুটপাট শেষে ডাকাতদল তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

ডাকাতদল বিহার থেকে ৪৭ হাজার নগদ টাকা, একটি এলইডি টিভি, ২টি মোবাইল ফোন সেট, দানবাক্সের টাকা সহ বেশকিছু মালামাল লুট করে।

বিহারের সেবক ধন বড়ুয়া জানান, ডাকাতরা বিহারের দ্বিতীয় তলার খোলা জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। বিহারে ঢুকে প্রথমে তাকে জোরে লাথি মেরে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে। এরপর তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চাবি দিতে বলে। তার চিৎকার শুনে বিহারাধ্যক্ষ সারমিত্র মহাথের রুম থেকে বাইরে এলে ডাকাতরা তাকেও জিম্মি করে ফেলে।

পরিদর্শনকালে সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল এ ঘটনাকে নিন্দনীয় উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের রেহাই দেয়া হবে না। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য তিনি আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। এছাড়া বিহারের নিরাপত্তায় তিনি আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।

জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ও পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অপরাধিদের আইনের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে এ ঘটনার পর পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাজাহান আলি, রামু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নিকারুজ্জামান ও রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লিয়াকত আলীও ঘটনাস্থলে যান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন