parbattanews

রামুতে মিজানকে চেতনানাশক খাইয়ে ও মারধর করে টমটম ছিনতাই

কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থী মো. মিজান। বাবা-মা আর ছোট ভাই-বোনদের জীবিকার তাগিদে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ঋন নিয়ে মাত্র ২০ দিন আগে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক (টমটম) ক্রয় করেছিল। সেটি চালিয়ে পরিবারের হাল ধরার চেষ্টা করছিলেন মিজান।

কিন্তু সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারি চক্র গতকাল শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চেতনানাশক খাইয়ে ও মারধর করে উপার্জনের একমাত্র সম্বল টমটম গাড়িটি ছিনিয়ে নেয়। স্বজনরা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

ছিনতাই ও মারধরের শিকার মো. মিজান (২০) রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের উত্তর ফতেখাঁরকুল গ্রামের রশিদ আহমদের ছেলে।মিজানের চাচাতো ভাই ছৈয়দ আলম জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় খবর পান রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা বাগান এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পাশে মিজান কাতরাচ্ছে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঐ দিন রাতে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।

মিজানের গলায় ফুলা জখম ও কালো দাগ রয়েছে। তাঁর ধারনা, ছিনতাইকারিরা মিজানকে চেতনানাশক খাইয়েছে এবং মারধর করে টমটম গাড়িটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।তিনি আরও জানান, মিজান কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। দরিদ্র পরিবারের হাল ধরতে সে পড়াশোনার পাশাপাশি ঋনের টাকা ক্রয় করার টমটম চালাতে শুরু করে। গাড়িটি ক্রয়ের মাত্র ২০ দিন পর এ ছিনতাইয়ের ঘটনা সংগঠিত হলো।

এখন একদিকে তার জীবন সংকটাপন্ন, অন্যদিকে গাড়িটি ক্রয়ের জন্য নেয়া ঋনের টাকা শোধ করার চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে মিজানের চাচাতো ভাই ছৈয়দ আলমসহ কয়েকজন রামু থানায় গিয়ে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

এদিকে মিজানের পরিবারের সদস্যরা জানান, তার বিভিন্নস্থানে খোঁজেও টমটম গাড়িটির সন্ধান পাননি। তবে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঈদগাঁও বাস স্টেশনে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরায় টমটম গাড়িটি যেতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামু থানার এসআই মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন জানান, ছিনতাইয়ের শিকার টমটম চালকের স্বজনরা থানায় গিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্ত চলছে। জ্ঞান ফিরলে টমটম চালকের সাথে কথা বলে আরও তথ্য নেয়া হবে। তবে এনিয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version