রামুতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন


রামুর উল্টাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ ইসলামকে জড়িয়ে ছাত্রী নির্যাতনের মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগে সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার উল্টাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ মানববন্ধন ও সমাবেশে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীসহ সর্বস্তুরের শত শত জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ ইসলাম এ বিদ্যালয়ে ৩৯ বছর শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। বিদ্যালয়টি বেসরকারি থাকাকালেও তিনি নামমাত্র বেতনে এলাকার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে তাঁর বিরুদ্ধে কখনো অনৈতিক কোন কর্মকান্ডের বিন্দুমাত্র অভিযোগ উঠেনি। তিনি ব্যক্তিগতভাবে একজন ধর্মপরায়ন, সৎ ও আদর্শ শিক্ষক হিসেকে পুরো এলাকায় পরিচিত। পুরো এলাকায় শিক্ষার প্রসারের তিনি আলোকিত ও সফল ব্যক্তিত্ব।
শিক্ষা জীবন থেকে অবসর নেয়ার মূহুর্তে কীর্তিমান এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। শিক্ষক মোহাম্মদ ইসলামের জামাতার সাথে চলমান বিরোধের জের ধরে চক্রটি এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্থানীয় বিতর্কিত একজন মহিলাকে ম্যানেজ করে তার স্কুল পড়ুয়া শিশু কন্যাকে ভিকটিম সাজিয়ে রামু থানায় হয়রানিমূলক যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি দায়েরের খবরে পুরো এলাকাবাসী ক্ষুব্দ ও মর্মাহত।
একজন আদর্শবান, সফল শিক্ষককে সম্মানের পরিবর্তে এমন অনৈতিক অভিযোগে দিয়ে অপমান করায় গ্রামবাসী লজ্জিত। যারা এ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন তাদের এলাকাবাসী কখনো ক্ষমা করবে না। অবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যতায় সর্বস্তুরের জনসাধারণ আরও বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করবে।
মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন- স্থানীয় সমাজসেবক ফরিদুল আলম। এতে বক্তব্য রাখেন- প্রকৌশলী মোহাম্মদ শেফায়েত, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আশরাফুল ইসলাম তারেক, আবদুল করিম,, এরফানুল হক, মো. জায়েদ, মোহাম্মদ ফারুক, মো. ফেরদৌস, একেরামুল হক, মৌলভী মকবুল আহমদ, তৌহিদুল ইসলাম, ফাতেমা বেগম, তাহেরা বেগম, নাজমা আকতার, রাফিয়া আকতার, রমজান আলী প্রমূখ।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ জানিয়েছেন- শিক্ষক মোহাম্মদ ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে নির্দোষ প্রমানিত হলে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হবে।