রামুর কচ্ছপিয়াতে ১ শিশুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দৌছড়ি ঢালার মূখ গ্রামে রান্নার তেল থেকে সৃষ্ট আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এক শিশুসহ বসত ঘর। পুড়ে যাওয়া শিশুর নাম হলো আবদুল আউয়াল জেহাদ (৬)। পিতা আনসারুল্লাহ। তার বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার লেবুছড়ি ৬ নম্বর ওর্য়াডে। আগুনের এ ঘটনায় ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, প্রতি সপ্তাহের ন্যায় হাটের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির কর্তা জাফর আলম স্থানীয় গর্জনিয়া বাজার থেকে কাঁচা মাছ আনে। বাড়ির গৃহিনীরা এ মাছ রান্না করতে গিয়ে এক পর্যায়ে আগুন ধরে যায়। তখন বাড়িতে ২ জন নারী ছাড়া তেমন কেউ ছিলো না। এ কারণে আগুন নিজের মতো দ্রুত সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেড়তে আসা গৃহকর্তা জাফরের ঘুমন্ত ঝি নাতি আবদুল আউয়াল নিমিষেই পুড়ে যায় এ আগুনে। পাশাপাশি আরো এক শিশু অনুরূপ আগুনের মাঝখানে অতি জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকে। লোকজন এগিয়ে এসে শেষের জনকে উদ্ধার করতে পারলেও আগের জন এরই মধ্যে মরে কংঙ্কাল হয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার জয়নাল আবেদীন জানান, এ ঘটনায় ৩ জন আহত হন। আর ক্ষয়ক্ষতি হয় নগদ ১ লক্ষ টাকাসহ প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্থরা মৃত এ শিশুর জন্যে আহাজারি করছে। আর গৃহকর্তাসহ পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে। এ ঘটনায় পুরো দৌছড়ি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর গহীণ রাতে পার্শ্ববর্তী গর্জনিয়া বাজারে আগুনে পুড়ে গিয়ে ১ ব্যবসায়ী ও এক কর্মচারী পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিলো।