রামুর ডাকভাঙ্গা ও মৈষকুম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ

fec-image

রামু উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি জনপদ ডাকভাঙ্গা ও মৈষকুম গ্রামে বেসরকারি সেবামূলক সংস্থা ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ শিক্ষা প্রকল্পের উদ্যোগে পরিচালিত মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মৈষকুম ওসমান সরওয়ার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ।

মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবদুল খালেক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. জুয়েল তালুকদার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নাইক্ষ্যংছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন জাহান, দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক পূর্বদেশ ও দৈনিক কক্সবাজার এর রামু প্রতিনিধি সোয়েব সাঈদ, ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মাস্টার আবুল কাশেম, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য নেবু রানী শর্মা, ভিলেজারপাড়া রওশন সরওয়ার শিশু ও বয়স্ক স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল আজিজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান, ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সলিম উল্লাহ, সহকারি শিক্ষক মার্জিয়া বেগম, সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর আলম, আরেফা আকতার, ছালেহা আকতার, জান্নাতুল বকেয়া, মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ বলেন, শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের জীবনকে আলোকিত করে। বর্তমান যুগে শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের চরম অবহেলা চোখে পড়ে। এটা দূঃখজনক।

শিক্ষকদের অমর্যাদা করে অতীতে কেউ জীবনে সফলতা অর্জন করেনি। তাই শিক্ষকদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করতে হবে। শিক্ষকদের সম্মান প্রদর্শন করেই একজন শিশু সুন্দর ভবিষ্যদের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ রামুর কাউয়ারখোপ এবং পার্শ্ববর্তী কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে অবহেলিত শিশুদের মানসম্মত পাঠদানের পাশাপাশি, ক্রীড়া-সংস্কতি চর্চার মাধ্যমে এদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলছে। এজন্য তিনি বেসরকারি সংস্থা ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

উল্লেখ্য মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী, আমন্ত্রিত অতিথি, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ক্রীড়া, ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ, রামু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন