parbattanews

রামুর দু’মাদরাসায় উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে বিতর্ক অনুষ্ঠিত

রামু প্রতিনিধি:

রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল মাদরাসা ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মনিরঝিল মহিউচ্ছন্নাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় ‘উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কক্সবাজার জেলার জনগণের সামাজিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধ প্রকল্পের আওতায় এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ইপসা সিভিক কনসোর্টিয়াম এর সহযোগিতায় এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা নোঙর।

রবিবার (২২ জুলাই) সকাল ১১টায় গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল মাদরাসা মিলনায়তনে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মডারেটর ছিলেন মাদরাসার সহকারি শিক্ষক শামসুল আলম। বিচারক ছিলেন, মাদরামার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আইয়ুব, সাংবাদিক ও শিক্ষক মাইনুদ্দিন খালেদ, সহকারি শিক্ষক মো. সেলিম।

প্রতিযোগিতা শেষে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ছাড়াও আয়োজক নোঙর এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ ভৌমিক, ফিল্ড ফ্যাসিলিটিটেটর মোহাম্মদ জুবাইদ, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

অন্যদিকে শনিবার (২১ জুলাই) বেলা ১২টায় মনিরঝিল মহিউচ্ছন্নাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা মিলনায়তনে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মডারেটর ছিলেন, নোঙর এর ফিল্ড ফ্যাসিলিটিটেটর মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এতে বিচারক ছিলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কলিম উল্লাহ, সহকারি শিক্ষক মুবিনুল হক ও হারেছা বেগম।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জঙ্গীবাদ, সহিংসতা বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম সব ধর্মে নিষিদ্ধ। অথচ ধর্মের নামে অনেক বিভ্রান্ত হয়ে মানুষ হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার সহিংস কর্মকান্ড সংগঠিত করে আসছে। এসব কাজে প্রধান টার্গেট করা হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এজন্য স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি দেশবাসীকে এ ব্যাপারে সচেতন করার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে এসব মাদরাসার শিক্ষার্থীরা উগ্রবাদ-সহিংসতা বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এবং এ লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার ঘোষণা দেয়।

উল্লেখ্য ইপসা সিভিক কনসোর্টিয়াম এর সহযোগিতায় রামু উপজেলায় জনগণের সামাজিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা নোঙর।

Exit mobile version