parbattanews

রামুর রাজারকুলে ইউপি সদস্য পদে উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ

কক্সবাজার রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত ইউপি সদস্য পদে উপ-নির্বাচনে ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী ৫ প্রার্থী ফলাফল প্রত্যাখান করেছেন এবং দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ফলাফল ঘোষণায় কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। বুধবার (২ নভেম্বর) রাজারকুল হালদারকুল ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে এ নির্বাচনে প্রহসনমূলক ও কারচুপির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকালে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৫ প্রার্থী যথাক্রমে আলী আকবর (টিউবওয়েল), শামসুল আলম (মোরগ), ছানা উল্লাহ (আপেল), দুদু মিয়া (তালা) এবং আবুল হাশেমসহ (ফুটবল) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শত শত জনতা অংশ নেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে হালদারকুল স্টেশনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এজেন্টদের নির্বাচনের ফলাফল না দিয়ে নিজেরাই পিছিয়ে থাকা এক প্রার্থীকে রহস্যজনক কারণে বিজয়ী ঘোষণা করে কেন্দ্র ছেড়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার। ফলাফল দেখতে চাইলেও কাউকে না দেখানোটা কারচুপির প্রমাণ বহন করে। তাই অবিলম্বে এ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।

জানা গেছে- নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটগ্রহণ শেষে মো. শহীদ উল্লাহকে (বৈদ্যুতিক পাখা) বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে অংশ নেয়া অপর ৫ প্রার্থী এ ফলাফল প্রত্যাখান করেছেন। নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন- রামু উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মহি উদ্দিন। ফলাফল ঘোষণার পর প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে ক্ষুব্দ ভোটাররা বুধবার রাতেই উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম তাদের কোন পাত্তা না দিয়ে উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়ে পরদিন আসার কথা বলে ফিরিয়ে দেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আলী আকবর, শামসুল আলম (মোরগ), ছানা উল্লাহ, দুদু মিয়া ও আবুল হাশেম জানিয়েছেন- ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের নামে তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। ভোট শুরুর সময় ইভিএম এ শূন্য ভোট দেখিয়ে ফলাফল এজেন্ট দেয়া হয়। কিন্তু ভোটগ্রহণ শেষে এজেন্ট বা প্রার্থীদের কাউকে ফলাফলের কপি দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র প্রিসাইডিং অফিসার নিজে হাতের লেখা ফলাফল সবার সামনে ঘোষণা করে এজেন্টদের বের করে দেন। অনেক এজেন্ট ফলাফলের কপি চাইলেও তিনি দেননি।

নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ছিলেন, রামু উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাহফুজুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন- বুধবার ফলাফল ঘোষণার পর রাতে অনেকে নির্বাচন অফিসে এসেছিলেন। তিনি তাদের বৃহস্পতিবার সকালে আসার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু কেউ আসেনি। এমনকি ফলাফলও নিয়ে যাননি। যে কেউ নির্বাচন অফিসে এসে ফলাফল দেখতে পারবে।

প্রসঙ্গত: ইতিপূর্বে এ ওয়ার্ডে নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. জুবাইর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। ফলে সদস্য পদটি শূন্য হয়ে যায়।

Exit mobile version