parbattanews

রামু ও নাইক্ষ্যংছড়িতে রবিশষ্য ও আমনের ব্যাপক ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়িতে রবিশষ্য ও আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার থেকে ৩ দিন ধরে দফায় দফায় বৃষ্টি আর ধমকা হাওয়ায় এ দু’উপজেলার অনেক আমন ক্ষেত শুয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কাঁচা ধানের ক্ষেত রয়েছে বেশ। এর আগে কৃষকরা ক্ষতি গুনছিলো বাদামী গাছ পোকার আক্রমনে। এ হতাশা কাটিয়ে উঠার আগেই আরেক কালো থাবা । অর্থাৎ বুলবুলের প্রভাব। ফলে কৃষকরা মরার উপর খাড়ার ঘা’র মতো ক্ষতির মুখোমুখি হলেন।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কৃষক আবদুল্লাহ জানান, কদিন আগে এলাকার কৃষককূল কারেন্ট পোকা নিয়ে দূঃচিন্তায় ছিলো। এ চিন্তা শেষ হতে না হতেই বুলবুল এসে পড়লো। এ বুলবুলের কারণে শনিবার থেকে বৃষ্টি ও হালকা বাতাসে ক্ষেতে প্রভাব পড়েছে অনেক। ধান ক্ষেত মাটিতে লুটে পড়েছে সর্বত্র। পাশাপাশি রবি শষ্যের একই দশা।

চাষি আবদুল খালেক বলেন, হঠাৎ করে টানা বৃষ্টি-রবি ও ধান চাষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এলাকার প্রায় সকল কৃষকের ক্ষতি হয়েছে বুলবুলের প্রভাবে।

উপজেলার রামু রাবার বাগান এলাকা, গর্জনিয়া, ঈদগড় ও জোয়ারিয়ানালা সহ বেশ কয়েকটি বিল ঘুরে ধানের ক্ষেতের এ অবস্থার তথ্য পাওয়া যায়। সর্বত্রই বাদামী গাছ পোকা ও বুলবুলের কারণে
কৃষককূলের ক্ষতি অপূরণীয় হওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান।

অপর দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ ইউনিয়নের সর্বত্রই ধান ক্ষেত ও রবি ক্ষেতে বুলবুলের প্রভাব পড়েছে। বাইশারী ইউনিয়নের ধানচাষি আবদুর রশিদ জানান, তিনি খোরাকের জন্যে ১ কানি আমনের ক্ষেত করেন। বুলবুলের প্রভাবে শনিবার রাতে তার এ ক্ষেতের ধান মাঠির সাথে মিশে যায়। যা দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। কেননা তার ক্ষেতের ধান গাছ গুলো দন্ডয়মান থাকলে একশ আরি ধান হতো। এখন হবে মাত্র ৫০ আরি। কারণ এ ক্ষেত এখনও পাক ধরে নি। এভাবে উপজেলার সোনাইছড়ি, সদর, দৌছড়ি ও ঘুমধুমের ক্ষেতে ধানের ক্ষতি হয়েছে সর্বত্র। পাশাপাশি রবি শষ্যেরও।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ওমর ফারুখ জানান, তার উপজেলায় বুলবুলের কারণে আমন ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। তবে তত বেশি নয়। বিশেষ করে পাকা ক্ষেতের ধান পড়ে গেলেও ক্ষতি কম হবে।  তিনি আরও জানান, কৃষি উপ-সহকারীদের দেয়া তথ্য মতে উপজেলায় প্রায় ৩৪ জন কৃষকের প্রায় ৩ হেক্টর ধান ক্ষতি হয়েছে।

Exit mobile version