রামু সেনানিবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে ২ দিনব্যাপী কর্মসূচি

fec-image

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন, রামু সেনানিবাস কর্তৃক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় ১৬ মার্চ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মোঃ মাঈন উল্লাহ চৌধুরী।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন-জাতির পিতার অক্লান্ত ত্যাগ তিতিক্ষা ও অদম্য বলিষ্ট নেতৃত্ব ছাড়া বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না।

দিবসটি উপলক্ষে রামু সেনানিবাস কর্তৃক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় (এ ডব্লিউ টি রেস্ট হাউজ, জলতরঙ্গ সংলগ্ন) ৩.৩০-৫.৩০টা পর্যন্ত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কক্সবাজার মোঃ কামাল হোসেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে. কর্নেল ফোরকান আহমদ, এলডিএমসি, পিএসসি (অবঃ), সিভিল সার্জন কক্সবাজার ডাঃ মাহবুবুর রহমান, অধিনায়ক র‍্যাব-১৫ সহ সামরিক/বেসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। রক্তদান কর্মসূচীতে সামরিক অসামরিকসহ প্রায় ১০৫ জন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটকগণ উক্ত কার্যক্রমকে স্বাগত জানায়। তারা এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রামু সেনানিবাস তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এছাড়া দিবসটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালনের লক্ষ্যে রামু সেনানিবাসে ১৭ মার্চ ভোর ০৫.৪০ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এরপর অফিসার, পরিবারবৃন্দ, সকল পদবির সেনা সদস্যদের পাশাপাশি রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সেনানিবাস ও তদসংলগ্ন এলাকায় ৩টি রুটে আলাদা পথে পদ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।

জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসকে স্মরনীয় করার লক্ষ্যে রামু সেনানিবাসে নবনির্মিত শিশুদের ক্লাব উদ্বোধন করার পাশাপাশি এদিন ১১-১২টা পর্যন্ত ডিভিশনের সকল বিগ্রেড/ইউনিট কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর উপর মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া দুপুরে সকল ব্রিগেড/ইউনিট/প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন করার পাশাপাশি বাদ যোহর কেন্দ্রীয়ভাবে জাতির পিতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন ‌করা হয়েছে। উক্ত দিবস উপলক্ষ্যে রামু সেনানিবাস কর্তৃক রামু উপজেলায় আবু বকর (রাঃ) ইসলামী সেন্টার নামক এতিমখানায় এতিমদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপন উপলক্ষ্যে সেনানিবাসের সকল ইউনিট ও স্থাপনাসহ সেনানিবাসের প্রবেশদ্বারে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন