parbattanews

রুমা সীমান্ত: নিজ ভূমিতে ২৮জন ফিরলেও নুতুন এসেছে আরও ৮০ জন

নিজস্ব প্রতিনিধি:
পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানায় কোনো বিদেশী শরণার্থি থাকতে পারবে না- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের এহেন ঘোষণার পর বিজিবির তৎপরতায় নিজ বসতি ছেড়ে বান্দরবানের রুমা সীমান্তে আশ্রিত শরণার্থীদের মধ্যে ৮ পরিবারে ২৮ সদস্য স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে গেছেন।

অনেকে আবার সীমান্তবর্তী পাড়ায়ও মিশে গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রগুলো। তবে একই দিনে নতুন করে আরো ৮০জন শরণার্থি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে একই সূত্র নাম প্রকাশ না করে নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, পাবর্ত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, রোহিঙ্গা বা বৌদ্ধ শরণার্থী কাউকে পার্বত্য চট্টগ্রামে থাকতে দেওয়া হবে না। সম্প্রতি রুমা সীমান্তে আসা শরণার্থীদেরও থাকার কোন সুযোগ নেই।

রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবান জেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শরণার্থিরা নিজ দেশে ফিরেছে।
এদিকে শরণার্থীদের মধ্যে ২৮ জন নিজ ভূমিতে ফিরলেও শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে আরও অন্তত ৮০ জন বৌদ্ধ ও খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের শরণার্থী।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের সেনাবাহিনীর অভিযানে গোলা বর্ষণের কারনে নিরাপত্তার জন্য তারা বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের খামওয়াং পাড়ার বাসিন্দা উছাহ্লামং মার্মা ও মংছৈচেন রাখাইন।

এর আগে গত ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের ৭২নং পিলারের নিকটবর্তী রুমা চৈক্ষং পাড়ায় দুই দফায় আশ্রয় নিয়েছিল ১শ’ ২৪ জন শরণার্থী।

ওই এলাকার সাবেক মেম্বার রামতাং বম জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা খোলা আকাশের নিচে প্লাস্টিক মুড়িয়ে থাকছেন। প্রছন্ড শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সেখানে। কেউ কেউ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও আশ্রয় নিয়েছে।

তবে ২৮ শরণার্থী ফেরত যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জহিরুল হক খান রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মিয়ানমারের শরণার্থীরা বাংলাদেশে ঢোকার জন্য রুমা সীমান্তের ওপারে অপেক্ষা করছিল কয়েকদিন ধরে। বিজিবির কড়া পাহারার কারণে তারা বাংলাদেশে ঢুকতে না পেরে নিজ দেশে ফিরে গেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ফেব্রুয়ারি (শনিবার) মিয়ানমারের চীন’ রাজ্য থেকে ১শ’ ৬৩ জন বৌদ্ধ শরণার্থী রুমা উপজেলার চাইক্ষ্যং সীমান্তে অবস্থান নেয়। দুদিন পর আরও ৪০ পরিবার এসে সেখানে জড়ো হয়।

Exit mobile version