parbattanews

রেড জোন: কুতুপালংয়ে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে সেচ্ছাসেবকরা

উখিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকা করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি থাকায় রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করেন উপজেলা প্রশাসন। তৎমধ্যে উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কুতুপালং বাজার অন্যতম। যার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক ৭ জুন রাত ১২টা থেকে জনসমাগম এড়াতে কুতুপালং ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে গ্রাম পুলিশসহ ৯জন সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালন করছে।

উল্লখ্য যে, করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ২,৫,৬ ও ৯ নাম্বার ওয়ার্ড, পালংখালী ইউনিয়নের ১,৪ ও ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের (আংশিক) থাইংখালী ও বালুখালী বাজার এলাকা। এছাড়াও রত্নাপালং ইউনিয়নের জনবহুল ব্যস্ততম স্টেশন কোটবাজারকে রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর ৮টি নির্দেশনা প্রদান করেন। এ নির্দেশনা ৭জুন রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয়। আগামী ২১ জুন পর্যন্ত চলবে।

প্রশাসনের নির্দেশনা মতে, রেড জোন এলাকার সকল প্রকার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকলকে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সকল প্রকার ব্যক্তিগত যানবাহন ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। রেড জোন এলাকায় ইজিবাইক, টমটম, সিএনজিসহ সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহণ, হালকা ও ভারী যানবাহন রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি গাড়ি চলাচলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। এ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহণ, স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের (অনডিউটি) পরিবহণ, কোভিড ১৯ মোকাবেলা ও জরুরী সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের গাড়ি এর আওতার বাইরে থাকবে।

Exit mobile version