parbattanews

রোহিঙ্গাদের ‘নাগরিকত্ব প্রদানের’ বিষয়ে অনড় কফি আনান

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বর্বরতা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ গ্রামে ফিরিয়ে নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে রাখাইন কমিশনের প্রধান কফি আনান বলেন, ‘সংকটের মূল কারণ রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টিরও সমাধান হতে হবে।’ সূত্র: দ্য ইকোনোমিক টাইমস

জাতিসংঘের সাবেক এ মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হলেই কেবল রাখাইনে ফিরতে পারবে। রাখাইন কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত না হলে আরো বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলেও শংকা প্রকাশ করেন কফি আনান।’

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সর্বশেষ তথ্যমতে, গত আগস্টে সহিংসতা শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে কফি আনানের নেতৃত্বে মিয়ানমারের ছয়জন এবং নেদারল্যান্ডস ও লেবাননের দুজন নাগরিককে নিয়ে নয় সদস্যের কমিশন গঠিত হয়। এক বছরে মিয়ানমারের মংডু, সিটওয়ে, বুথিডং, ইয়াঙ্গুন, নেপিদো ছাড়াও ব্যাংকক, ঢাকা, কক্সবাজার ও জেনেভায় অন্তত ১৫৫টি বৈঠক করে প্রায় ১ হাজার ১০০ ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন তাদের প্রতিবেদন তৈরি করে। আনান কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ৮৮টি সুপারিশ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত ওই রিপোর্টে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে কমিশন তাদের প্রাথমিক প্রস্তাবনা দেয়। প্রধানত দ্বন্দ্ব নিরসন, মানবিক সহায়তা দান, সৌহার্দ্য স্থাপন করার মাধ্যমে রাখাইনের উন্নয়ন করা এর লক্ষ্য। প্রথম প্রস্তাবে তারা বলেছে, রাখাইনের সব এলাকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দেয়া উচিত। সহিংসতার শিকার কোনো সম্প্রদায় যেন পর্যাপ্ত ত্রাণ থেকে বঞ্চিত না হয়। সহিংসতা আক্রান্ত সব এলাকায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব মিডিয়াকে প্রবেশাধিকার দেয়া উচিত। মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।

এতে রাখাইনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা, লোকজনের অবাধ চলাচল ও নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

Exit mobile version