“বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাদের একটা আগ্রহ আছে।”

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার আগ্রহী না: প্রধানমন্ত্রী

fec-image

‘সবাই চায় যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু  মিয়ানমার তাদের নিতে চায় না। এখানেই সমস্যা হয়ে গেছে।  সবাই মিলে সহযোগিতা করলে একটা ব্যবস্থা হবে। না হলে এত লোকের ব্যবস্থা করা কঠিন।

 

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চায় না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা তো চুক্তি করেছি। সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের (মিয়ানমার সরকার) সঙ্গে যোগাযোগও আছে। কিন্তু ওইভাবে তাদের সাড়াটা পাই না। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার আগ্রহী না।’

’১১ দিনের ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে রবিবার (৯ জুন) বিকেল ৫টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘জাপানে সফর করেছি। চীনেও হবে। ইতোমধ্যে চীনে যাওয়ার দাওয়াত ছিল আমার। কিন্তু সে সময় বোধহয় সংসদে জরুরি কিছু চলছিল। তখন যেতে পারিনি। আগামী জুলাই মাসে যাওয়ার দাওয়াত আছে। চীনের প্রেসিডেন্ট দাওয়াত দিয়েছেন। ৩০ জুন আমাদের বাজেট পাসের ব্যাপার আছে।  বাজেট পাস হওয়ার পর চীনে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সামিট। সামার সামিটটা হবে ওখানে। তখন যাবো।’

বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সবাই সম্মান করেন। যদিও বাংলাদেশ থেকে বহুবার বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস থেকে তো আর মুছতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় যারা ছাত্র ছিলেন, যুবক ছিলেন, আজ তাদের অনেকেই রাষ্ট্র ক্ষমতায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাদের একটা আগ্রহ আছে। কাজেই সেদিক থেকে আমাদের একটি ভালো সম্পর্ক আছে। তাড়াতাড়ি চীনে যাওয়ার একটা কর্মসূচি আছে।’  তিনি আরও বলেন, ‘দাওয়াত তো এত বেশি যে, সব জায়গায় যেতে হলে দেশে থাকবো কখন? সব দেশ থেকে আমাকে চায়। এখন তো বয়স হয়েছে, সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে চীনে যাবো এবার। জুলাইতে চীনে যাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই চায় যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু  মিয়ানমার তাদের নিতে চায় না। এখানেই সমস্যা হয়ে গেছে।  সবাই মিলে সহযোগিতা করলে একটা ব্যবস্থা হবে। না হলে এত লোকের ব্যবস্থা করা কঠিন।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফর করেন। ১১ দিনের সফর শেষে শনিবার (৮ জুন) সকালে তিনি দেশে ফেরেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন