রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে যুবক আটক

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তায়নে জড়িত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) অস্ত্র জোগান দেওয়ার অভিযোগে আরও ১ যুবককে আটক করা হয়েছে।
আটক নাসির উদ্দিন (৩০) চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর-সুরাজপুর ইউনিয়নের সুরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার (৯ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ইলিশিয়া এলাকার দুর্গম চিংড়ি ঘেরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব।
এসময় দুটি কার্তুজ ও দুটি এলজি বন্দুক উদ্ধার করা হয় বলে বাহিনীটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
সোমবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব দাবি করে, আটক নাসির উদ্দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে আরসা ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের জোগান দিয়ে আসছিল।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই অভিযোগে চকরিয়া থেকে অস্ত্রসহ তিনজন এবং কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া থেকে তিনটি অস্ত্রসহ এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছিল র্যাব।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গোপনে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে আসছে। এই অস্ত্র দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ, হত্যা ও নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে তারা। এ তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়ার ইলিশিয়া চিংড়ি ঘেরে অভিযান চালিয়ে দুটি তাজা কার্তুজ ও দুটি এলজি বন্দুকসহ নাসির উদ্দিনকে আটক করা হয়। ওই চিংড়ি ঘেরের চারপাশে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে এবং সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার ব্যবহার করে নিরাপদে অস্ত্র ব্যবসা পরিচালিত করা হচ্ছে, যা অভিযানকালে পরিলক্ষিত হওয়া গেছে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক নাসির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মহেশখালীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে বিক্রি করছে বলে স্বীকার করেছে। তাকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, নাসির যে ঘের থেকে আটক হয়েছেন তার মালিক মাতামুহুরি সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা।
তিনি দাবি করেন, তার ঘেরে কোনো অস্ত্র ছিল না। ঘেরটি সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হতো। ঘেরের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিক্স র্যাব নিয়ে গেছে। হার্ডডিক্স চেক করলেই বিষয়টি ধরা পড়বে।
বাবলা আরও দাবি করেন, নাসির একজন ভালো ও শান্তশিষ্ট ছেলে। সে কোনোভাবে অস্ত্র ব্যবসায়ী হতে পারে না।