রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত আইওএম-এনরুটের দেড় শতাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থীদের আশ্রয় শিবির উখিয়া ও টেকনাফে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও তাদের সহযোগী দেশীয় বিপিও কোম্পানি এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে দেড় শতাধিক কর্মীকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ ও তাদের পুনরায় চাকরিতে বহাল করাসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধন উত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) উখিয়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যেরে শিকার চাকরি হারা সংস্থা দুইটির কর্মীরা। কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তারা।
মানববন্ধনে তারা বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত ছিল স্থানীয়রা। অথচ এতো দিন হলেও বেতন রয়ে গেছে আগের মতো, দুই দিনের জায়গায় পান মাত্র একদিনের সাপ্তাহিক ছুটি এবং কাজের পরিধিও বাড়ছে দিন দিন।
আন্দোলনকারী কয়েকজন এনজিও কর্মী বলেন, নিজেদের প্রতি প্রহসনের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় টানা এক সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। যারা কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করেছে তারা বেশিরভাগ উখিয়া ও টেকনাফের ১৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ছয়শতাধিক মানবাধিকার ও উন্নয়ন কর্মী।
তারা আরও বলেন, কর্মবিরতিতে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নিয়োজিত দেশীয় বিপিও কোম্পানি এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড বিনা নোটিশে নিয়োগপ্রাপ্ত দুইশতাধিক কর্মীকে সাটাই করা হয়েছে। তারা পুনরায় চাকরিতে বহাল করার দাবি জানান।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা প্রথমে ৪ দফা ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি নিয়ে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে এনরুট এবং আইওএম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ই-মেইল এবং শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতির মাধ্যমে অবগত করলেও কোনো সমাধান করেনি। উল্টো সংস্থা দুইটি নিয়মবহির্ভূতভাবে উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় দেড় শতাধিক স্থানীয় এনজিও কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মানবাধিকার ও উন্নয়নকর্মীরা রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিক হিসেবে চার দফা দাবিসহ বৈষম্যমুক্ত এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা ও পুনরায় কর্মের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহ ধরে উক্ত সংস্থা দুটির কর্মীরা চার দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন করে আসছিল। আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুই শতাধিক সামনের সারির কর্মীকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গত রবিবার সন্ধ্যায় বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।