parbattanews

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়ায় স্থানীয়দের স্বস্তি : রয়েছে দুশ্চিন্তাও

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে দুশ্চিন্তাও রয়েছে বলে জানান তারা। একদিকে যেমন এই বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে কাঁটাতারের বেড়ার আওতায় রেখে যেমন স্থানীয়রা শান্তি পাচ্ছে, অন্যদিকে তেমন অশান্তিও বিরাজ করছে তাদের মাঝে।

কারণ হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্প অধ্যুষিত এলাকার স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, এই বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা কঠিন ব্যাপার। এছাড়াও রোহিঙ্গারা অনেকক্ষেত্রে বেপরোয়া। ফলে তারা তাদের নির্দিষ্ট আশ্রয়স্থল রোহিঙ্গা শিবির থেকে অবাধে আসা-যাওয়া করতে পারে। যার কারণে যেমন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

তারা আরও মনে করেন, অনেক আগেই রোহিঙ্গাদের কাঁটাতারের বেড়ার আওতায় আনা জরুরি ছিল স্থানীয়দের নিরাপত্তার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। তবে সময়ের সাথে এখন কাঁটাতারের বেড়া হওয়ায় স্থানীয় সাধারণ জনগণ কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। সচেতন মহল মনে করছেন, পূর্বের তুলনায় এখন অনেকটাই রোহিঙ্গাদের বেপরোয়া কার্যকলাপ ও অবাধ বিচরণ কমবে এবং সুশৃঙ্খল হবে।

রোহিঙ্গা শিবিরের বাইরে থাকা স্থানীয়দের জন্য বিষয়টি স্বস্তিদায়ক হলেও এদিকে চরম বিপাকে ও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিবিরের ভেতরে থাকা স্থানীয়রা।

জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৫ এর ‘এ’ ব্লকে থাকা স্থানীয় ভুক্তভোগী সিরাজ মিয়া বলেন, কাঁটাতারের বেড়া হওয়ায় আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে যাতায়াত সমস্যায় রয়েছি আমরা পাশাপাশি থাকি এমন ১৫-২০ টি পরিবার (স্থানীয়)। পূর্বের মতো সহজভাবে আর আসা-যাওয়া করতে পারছিনা কাঁটাতারের বেড়া হওয়ায়। এখন ১-২ কি.মি পায়ে হেঁটে নির্ধািরত পথ হয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। এনিয়ে আমরা ভুক্তভোগীরা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়েছি। তারাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১২ তে থাকা স্থানীয় ভুক্তভোগী রেহেনার গল্পও প্রায় একই। তিনি বলেন, আমার স্বামী ও ছেলে রয়েছে। কর্মের তাগিদে প্রতিদিন ক্যাম্পের বাইরে যেতে হয় তাদের। যাতায়াতে আগের তুলনায় সমস্যা হচ্ছে। এখন জবাবদিহিতা যেমন বেড়েছে পাশাপাশি অবাধ বিচরণও বন্ধ হচ্ছে। যার ফলে বিষয়টি সহজলভ্য থেকে কঠিনে রুপান্তর হয়েছে যা বিব্রতকর।

স্থানীয় ০৫ নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে থাকা স্থানীয়রা নানান সমস্যায় ভুগছে। এছাড়াও তাদের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আতঙ্কে রাত্রী যাপন করতে হয় প্রতিদিন। ব্যক্তিগতভাবে আমিও দুশ্চিন্তায় আছি ভুক্তভোগীদের নিয়ে। আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি তাদের একটি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার।

Exit mobile version