রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফোরজি: সুবিধাবঞ্চিত ক্যাম্পের বাইরের স্থানীয় বাংলাদেশিরা

fec-image

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ তার আশেপাশের এলাকায় প্রায় ১ মাস আগে জাতীয় স্বার্থের কারণে থ্রিজি-ফোরজি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল বিটিআরসি। সে নির্দেশনাবলী বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফোরজি নেটওয়ার্ক সুবিধা পুনঃ চালু করা হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরে নাকি এখনও ফোরজি সচল রয়েছে যা রোহিঙ্গারা নিতান্তই ক্যাম্পে বসেই ব্যবহার ও উপভোগ করতে পারছে।

এই খবর ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় সকল মানুষের কাছে। বিষয়টি শুনে তারা চরমভাবে হতাশ এবং নতুন করে ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে তাদের মধ্যে।

স্থানীয়রা বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরে ফোরজি সচল রাখাটা খুবই দুঃখজনক এবং এটা আশাতীত। বলা যায় সিম অপারেটর কোম্পানিগুলো সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ফোরজি নেটওয়ার্ক পুনঃ চালু করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি এম. গফুর চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্যই থ্রিজি-ফোরজি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিটিআরসি। তাছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্প অধ্যুষিত এলাকাতেও তার প্রভাব পড়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে বিগত প্রায় এক মাস ধরে স্থানীয়রা থ্রিজি-ফোরজি সেবা থেকে বঞ্চিত। সেই পরিস্থিতিতে এসে অতি গোপনে ক্যাম্পে পুনঃ নেটওয়ার্ক চালু করা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা সত্যি তার একাধিক প্রমাণ মেলেছে এবং খুবই হতাশাজনক ব্যাপার। যাদের কারণে নেট বন্ধ রাখার কথা তারাই এখন সে সুবিধা পাচ্ছে, পাচ্ছে না শুধু ক্যাম্পের বাইরে থাকা বাংলাদেশিরা।

তিনি আরো বলেন, আমার বাড়ি থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুরত্ব ১০০ গজের মতো। এদিকে আমি নেট পাচ্ছিনা আর রোহিঙ্গারা বসে বসে ফোরজি নেটের সুবিধা পাচ্ছে। সমাধানের জন্য আমি এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এছাড়াও রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২ টার দিকে ক্যাম্প ১৪ হাকিমপাড়া থেকে অনলাইন গণমাধ্যম পার্বত্যনিউজ তা সরাসরি লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে সরেজমিনে প্রমাণ করে দেখিয়েছে যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিও প্রদর্শনের পর অনেকেই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন