টেকনাফ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্তৃক যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক হত্যার প্রতিবাদ:

রূপ নিচ্ছে রোহিঙ্গা খেদাও আন্দোলন 

fec-image

টেকনাফে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্তৃক ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুককে হত্যার প্রতিবাদে এখন রুপ নিচ্ছে রোহিঙ্গা খেদাও আন্দোলনে।

ওমর ফারুককে হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার(২৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাস্তায় নেমে আসে হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতা। স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ মিছিল, সড়ক অবরোধ, এনজিও অফিস ভাংচুর ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদ মাঝির বাড়ীতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।

বিক্ষোভ চলাকালিন সময় বিভিন্ন এনজিও সংস্থার গাড়ি ও অফিস ভাংচুর করা হয়। সড়কে আগুন জ্বালিয়ে গাছ ফেলে অবরোধ করায় সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আশ্বাসে ৩ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

উল্লেখ্য একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ২২ আগস্ট রাতে টেকনাফে হ্নীলায় নিজ বাড়ীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) হত্যা করে।

নিহত ওমর ফারুক উপজেলার হ্নীলা ইউপি’র জাদিমোরা এলাকার মোনাফ কোম্পানির ছেলে এবং হ্নীলা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ ও জাদিমোরা এম আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত ১০.৩০টায় রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার সেলিমের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী ওমর ফারুককে নিজ বাড়ীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে পাহাড়ের পাশে গুলি করে হত্যা করে।

খবর পেয়ে নিহতের ভাই আমির হামজা ও উসমানসহ স্বজনরা লাশ আনতে গেলে ডাকাত দল লাশ আনতে বাধা দেয়।

এই ঘটনার সাতে প্রত্যাবাসন বিরোধী একদল সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা জাড়িত বলে জানাগেছে। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় জনগণ।

এমনিতেই বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গাদের অপকর্মে স্থানীয়রা অতিষ্ট। ২২ আগস্ট রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে রাজি না হওয়ায় ব্যর্থ হয়েছে প্রত্যাবাসন। এর উপর যুবলীগ নেতা হত্যার বিষয় নিয়ে টেকনাফ শুধু নয়, গোটা কক্সবাজারের মানুষ এখন রোহিঙ্গা ও এনজিওদের উপর ক্ষুব্ধ।

স্থানীয়রা মনে করেন, এনজিওদের প্ররোচনায় রোহিঙ্গারা নানা শর্ত দিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাচ্ছেনা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: রুপ নিচ্ছে রোহিঙ্গা খেদাও আন্দোলন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন